ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়ায় ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৩৪ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউপি সদস্য শাহ আলম (৪৮) কে হত্যার দায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো.আব্দুল মান্নান এ রায় দেয়। নিহত শাহ আলম উপজেলার পশ্চিম ফুলঝুড়ি গ্রামের মৃত সৈজউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। নিহত শাহ আলম উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড (ফুলঝুড়ি গ্রামের) ইউপি সদস্য ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই রাতে ফুলঝুড়ি গ্রামের এক বাড়িতে ডাকাত পড়ার চিৎকার শুনে শাহ আলম ছুটে যান। এসময় তিনি সড়কে পৌছলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডাকাতেরা শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন শাহ আলমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ডাকাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
সাক্ষী গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের আলম মোল্লা (৩৪), বাদুরা গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন (৩৪), পাঠাকাটা গ্রামের ইদ্রিস (৩৯) ও ইলিয়াস (৩৪), বকসির ঘটিচোরা গ্রামের দোলোয়ার (২৯), ধানীসাফা গ্রামের আব্দুর রহিম (৩৪) ও সাফা গ্রামের মো. বাচ্চকেু (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। ইদ্রিস হাওলাদার ও বাচ্চু তালুকদার পলাতক রয়েছেন। মোস্তফা নামের এক আসামি মৃত্যুবরন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি খান মো. আলাউদ্দিন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

মঠবাড়িয়ায় ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৩:২৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৯

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউপি সদস্য শাহ আলম (৪৮) কে হত্যার দায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো.আব্দুল মান্নান এ রায় দেয়। নিহত শাহ আলম উপজেলার পশ্চিম ফুলঝুড়ি গ্রামের মৃত সৈজউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। নিহত শাহ আলম উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড (ফুলঝুড়ি গ্রামের) ইউপি সদস্য ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই রাতে ফুলঝুড়ি গ্রামের এক বাড়িতে ডাকাত পড়ার চিৎকার শুনে শাহ আলম ছুটে যান। এসময় তিনি সড়কে পৌছলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডাকাতেরা শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন শাহ আলমকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ডাকাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
সাক্ষী গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের আলম মোল্লা (৩৪), বাদুরা গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন (৩৪), পাঠাকাটা গ্রামের ইদ্রিস (৩৯) ও ইলিয়াস (৩৪), বকসির ঘটিচোরা গ্রামের দোলোয়ার (২৯), ধানীসাফা গ্রামের আব্দুর রহিম (৩৪) ও সাফা গ্রামের মো. বাচ্চকেু (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। ইদ্রিস হাওলাদার ও বাচ্চু তালুকদার পলাতক রয়েছেন। মোস্তফা নামের এক আসামি মৃত্যুবরন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি খান মো. আলাউদ্দিন।