ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৫৭ কোটি ২০ লক্ষ ডলার জরিমানা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯
  • ২২৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: এবার ৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। মাদকাসক্তিজনিত সংকট তৈরি করায় ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনকে (জেঅ্যান্ডজে) জরিমানা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার একটি আদালত।
মার্কিন এক বিচারপতি জনসনের বিরুদ্ধে এক মামলার শুনানিতে বলেন, উচ্চমাত্রায় আসক্তি সম্পন্ন ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দেয়ার জন্য কূটকৌশল অবলম্বণ করে প্রচারণা চালিয়েছে জনসন।
সংস্থাটি নিষিদ্ধ ওপিওয়েড ব্যবহারের মাধ্যমে জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মদদ দিয়েছে। তবে আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই জনসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। নিষিদ্ধ ওপিওয়েড তৈরিকারক ও বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা কয়েক হাজার মামলার মধ্যে জনসনের বিরুদ্ধে করা মামলাটিই প্রথম আদালতে উঠল।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার শুনানিতে বলা হয়, আসক্তি সৃষ্টিকারী ওষুধ বা অপিওয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রায় চার লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের বিচারকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অপিওয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ২০০০ সালের পর থেকে কেবল ওকলাহোমাতেই মারা গেছেন অন্তত ছয় হাজার মানুষ।
জনসাধারণের স্বাস্থ্য সংকট তৈরির পেছনে মূল হোতা হিসেবে জনসনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, জনসনের বিপণন কৌশলের কারণেই চিকিৎসকরা অকাতরে প্রেসক্রিপশনে অপিওয়েডের নাম লিখে গেছেন। ফলে এই আসক্তি সৃষ্টিকারী ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার বহু মানুষের মৃত্যু ডেকে এনেছে।
তবে জনসন অ্যান্ড জনসন বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওষুধ বিক্রির জন্য প্রচারণার সময় তারা যা যা বলেছে, তার সবগুলোরই বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি আছে। আর ওষুধের ক্ষেত্রে ওপিওয়েড নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৫৭ কোটি ২০ লক্ষ ডলার জরিমানা

আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: এবার ৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। মাদকাসক্তিজনিত সংকট তৈরি করায় ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনকে (জেঅ্যান্ডজে) জরিমানা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার একটি আদালত।
মার্কিন এক বিচারপতি জনসনের বিরুদ্ধে এক মামলার শুনানিতে বলেন, উচ্চমাত্রায় আসক্তি সম্পন্ন ব্যথানাশক ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দেয়ার জন্য কূটকৌশল অবলম্বণ করে প্রচারণা চালিয়েছে জনসন।
সংস্থাটি নিষিদ্ধ ওপিওয়েড ব্যবহারের মাধ্যমে জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মদদ দিয়েছে। তবে আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই জনসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। নিষিদ্ধ ওপিওয়েড তৈরিকারক ও বিতরণকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা কয়েক হাজার মামলার মধ্যে জনসনের বিরুদ্ধে করা মামলাটিই প্রথম আদালতে উঠল।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিভাগের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার শুনানিতে বলা হয়, আসক্তি সৃষ্টিকারী ওষুধ বা অপিওয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রায় চার লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের বিচারকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অপিওয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ২০০০ সালের পর থেকে কেবল ওকলাহোমাতেই মারা গেছেন অন্তত ছয় হাজার মানুষ।
জনসাধারণের স্বাস্থ্য সংকট তৈরির পেছনে মূল হোতা হিসেবে জনসনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, জনসনের বিপণন কৌশলের কারণেই চিকিৎসকরা অকাতরে প্রেসক্রিপশনে অপিওয়েডের নাম লিখে গেছেন। ফলে এই আসক্তি সৃষ্টিকারী ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার বহু মানুষের মৃত্যু ডেকে এনেছে।
তবে জনসন অ্যান্ড জনসন বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওষুধ বিক্রির জন্য প্রচারণার সময় তারা যা যা বলেছে, তার সবগুলোরই বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি আছে। আর ওষুধের ক্ষেত্রে ওপিওয়েড নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।