ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো’

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯
  • ১৭৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্ল্যাহের সভাপতিত্বের আলোচনা সভায় অন্যানের‌ মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বজলুর রহমান। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার শাসনামলেই দেশে গুম খুনের সংস্কৃতি শুরু।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বার বার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল।বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়াও খুনিদের সংসদে এনে পুরস্কৃত করেছেন।
জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে, ফলে বিএনপির সৃষ্টিও অবৈধ হয়ে যায় বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি দাবি করেন, দেশে গুম খুনের সংস্কৃতি শুরু করেছিল বিএনপি ও জিয়াউর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও যারা কোন না কোনভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তারা কিন্তু ঠিকই পরবর্তীতে মোশতাকের পরে জিয়ার সাথেই গেছে, এখনও অনেকে বেশ বড় বড় কথাও বলে কিন্তু তারা সে এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তাতে কোনও সন্দেহ ছিল না এবং আজকে না প্রমাণিত হয়।
তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরচারী শাসকরা যখন ক্ষমতা নেয় তখন তাদের মধ্যে এক সুপ্ত বাসনা থাকে, রাজনৈতিক নেতা হওয়ার। যদিও তারা রাজনৈতিক নেতাদেরই গালি দেয়। মোশতাক বেঈমানি করে ক্ষমতায় গিয়েছিল, আড়াই মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই। ঠিক যেভাবে মীর জাফর বেঈমানি করে সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করেছিল, মীর জাফরও কিন্তু ২ মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারে নি। মীর জাফর নামটাই বেঈমান হিসেবে পরিচিত। ঠিক মোশতাকের ভাগ্যেও তাই ঘটলো, সেও থাকতে পারলো না। কিন্তু এই মোশতাকই কিন্তু জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ এ বিএনপি ক্ষমতায় এসে ৭১ এর মত হত্যা নির্যাতন চালিয়েছে। জঙ্গীবাদ, অর্থপাচারসহ দেশজুড়ে অস্থিরতা চালিয়েছিল বিএনপি।
তিনি বলেন, এখন আর কেউ বাংলাদেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দিতে পারবে না।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

‘হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিলো’

আপডেট সময় : ০৯:০৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাস, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্ল্যাহের সভাপতিত্বের আলোচনা সভায় অন্যানের‌ মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বজলুর রহমান। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার শাসনামলেই দেশে গুম খুনের সংস্কৃতি শুরু।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বার বার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল।বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়াও খুনিদের সংসদে এনে পুরস্কৃত করেছেন।
জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছে, ফলে বিএনপির সৃষ্টিও অবৈধ হয়ে যায় বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি দাবি করেন, দেশে গুম খুনের সংস্কৃতি শুরু করেছিল বিএনপি ও জিয়াউর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও যারা কোন না কোনভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তারা কিন্তু ঠিকই পরবর্তীতে মোশতাকের পরে জিয়ার সাথেই গেছে, এখনও অনেকে বেশ বড় বড় কথাও বলে কিন্তু তারা সে এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তাতে কোনও সন্দেহ ছিল না এবং আজকে না প্রমাণিত হয়।
তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরচারী শাসকরা যখন ক্ষমতা নেয় তখন তাদের মধ্যে এক সুপ্ত বাসনা থাকে, রাজনৈতিক নেতা হওয়ার। যদিও তারা রাজনৈতিক নেতাদেরই গালি দেয়। মোশতাক বেঈমানি করে ক্ষমতায় গিয়েছিল, আড়াই মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই। ঠিক যেভাবে মীর জাফর বেঈমানি করে সিরাজ-উদ-দৌলাকে পরাজিত করেছিল, মীর জাফরও কিন্তু ২ মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারে নি। মীর জাফর নামটাই বেঈমান হিসেবে পরিচিত। ঠিক মোশতাকের ভাগ্যেও তাই ঘটলো, সেও থাকতে পারলো না। কিন্তু এই মোশতাকই কিন্তু জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ এ বিএনপি ক্ষমতায় এসে ৭১ এর মত হত্যা নির্যাতন চালিয়েছে। জঙ্গীবাদ, অর্থপাচারসহ দেশজুড়ে অস্থিরতা চালিয়েছিল বিএনপি।
তিনি বলেন, এখন আর কেউ বাংলাদেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দিতে পারবে না।