ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএম কলেজের ছাত্র অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃ বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক ছাত্রকে অপহরণের পরে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নগরীর নিউ কলেজ রো’ এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
এই ঘটনায় অপহৃত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আবু সুফিয়ান ইমু’র পিতা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন (যার নং-১৪৭১)।
অপহৃত ইমু বিএম কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং সে কলেজের অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের ৩০৯নং কক্ষে থাকতেন। সে পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিএন্ডটি রোডের বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের ছেলে।
ডায়েরী সূত্র জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আবু সুফিয়ান ইমু’র বন্ধু জুবায়ের মাহমুদ ফোন করে ইমুর বাবাকে জানায় ‘দুটি মোটর সাইকেলে আসা অজ্ঞাতনামা তিনজন লোক বিএম কলেজের পেছনের গেট থেকে ইমুকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
তখন থেকেই ইমু’র দুইটি ফোন নম্বরে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মাঝে মধ্যে অন থাকে। এর পর অনেক খোঁজা খুঁজির পরেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।
জসিম উদ্দিন জানান, অপহরণের পর ইমু’র মোবাইল নম্বর থেকে ছেলের মুক্তিপন বাবদ ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা পেলে যেখান থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে সেখানেই ফেলে যাওয়ার আশ্বাস দেয় অপহরণকারীরা।
এজন্য শুক্রবার সকালে অপহরণকারীদের দেয়া একটি বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেন। কিন্তু এর পরেও ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে সকাল ১০টার দিকে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি ডায়েরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি একজন গরিব এবং অসহায় মানুষ। খুব কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছি এবং দুই ছেলে মেয়েকে পড়া লেখা করাচ্ছি। আমি কোন আইনী ঝামেলায় যেতে চাই না। আমি শুধু আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ডায়েরীর সূত্র ধরে অপহৃত কলেজ ছাত্রকে উদ্ধারে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই কলেজ ছাত্রকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ/২০২৫ খ্রি. এর শুভ উদ্বোধন।

বিএম কলেজের ছাত্র অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়

আপডেট সময় : ০৯:১০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক ছাত্রকে অপহরণের পরে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নগরীর নিউ কলেজ রো’ এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
এই ঘটনায় অপহৃত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আবু সুফিয়ান ইমু’র পিতা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন (যার নং-১৪৭১)।
অপহৃত ইমু বিএম কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং সে কলেজের অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের ৩০৯নং কক্ষে থাকতেন। সে পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিএন্ডটি রোডের বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের ছেলে।
ডায়েরী সূত্র জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আবু সুফিয়ান ইমু’র বন্ধু জুবায়ের মাহমুদ ফোন করে ইমুর বাবাকে জানায় ‘দুটি মোটর সাইকেলে আসা অজ্ঞাতনামা তিনজন লোক বিএম কলেজের পেছনের গেট থেকে ইমুকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
তখন থেকেই ইমু’র দুইটি ফোন নম্বরে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মাঝে মধ্যে অন থাকে। এর পর অনেক খোঁজা খুঁজির পরেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।
জসিম উদ্দিন জানান, অপহরণের পর ইমু’র মোবাইল নম্বর থেকে ছেলের মুক্তিপন বাবদ ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা পেলে যেখান থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে সেখানেই ফেলে যাওয়ার আশ্বাস দেয় অপহরণকারীরা।
এজন্য শুক্রবার সকালে অপহরণকারীদের দেয়া একটি বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেন। কিন্তু এর পরেও ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে সকাল ১০টার দিকে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি ডায়েরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি একজন গরিব এবং অসহায় মানুষ। খুব কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছি এবং দুই ছেলে মেয়েকে পড়া লেখা করাচ্ছি। আমি কোন আইনী ঝামেলায় যেতে চাই না। আমি শুধু আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ডায়েরীর সূত্র ধরে অপহৃত কলেজ ছাত্রকে উদ্ধারে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই কলেজ ছাত্রকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।