ঢাকা ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমি তোমাদের সাথে একত্রে কাজ করতে চাই- মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৯৮৫ বার পড়া হয়েছে

ফরিদ ভাইয়ের টাইমলাইন থেকেঃ আমি তোমাদের সাথে কাজ করতে চাই, আমি জানি তোমরাই পারবে। আর সে কারণেই মেয়র হিসেবে নয়, তোমাদের সহযোদ্ধা হয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমিও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমিও চাই আমাদের দেশের শিশুরা বড় হোক সবুজে ভরপুর, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর এক বাংলাদেশে। আমাকে কি টিশার্ট একটি দেওয়া যাবে? আমি কোন টিমে কাজ করবো?? কে আমাকে টিমে নিবে???…….. ঠিক এমন করেই বলছিলেন জনাব Atiqul Islam মাননীয় মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

বিডি ক্লিন ঢাকা এর সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নিয়মানুযায়ী গ্রুপ ছবি তোলা শেষে লাল সবুজে আবৃত তারুণ্যেরা যখন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার শপথে অংশ নিতে প্রস্তুত, ঠিক এমন সময়ে কালো রঙের একটি গাড়ি তাদের সামনে এসে থামলো। অনাকাঙ্ক্ষিত সে গাড়ি থেকে যিনি নেমে এলেন তা দেখে বিডি ক্লিন ঢাকা সদস্যরা প্রায় হতবম্ব। কিন্তু নগর পিতাকে চিনতে তো কারোরই ভূল হবার কথা নয়, তবুও তারা অবাক তাকিয়ে আছেন তার দিকেই। হয়তো সবাই তখন ভাবছিলেন আমরা কি সত্যিই নগর পিতাকে দেখছি!! হিসেব তো মিলেনা!!! অবাক সে মানুষটি সবার সামনে এসে যখন নিজের অভিব্যক্তি তারুণ্যের উদ্দেশ্যে ব্যাক্ত করলেন, লাল-সবুজে আবৃত অদম্য তারুণ্যের চোখে মুখে তখন আনন্দের ছাপ। মুহুর্তেই করতালির মাধ্যমে বরন করে নিলেন নগর পিতাকে।


পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার শপথ পাঠ শেষে বিস্ময় মেয়র মহোদয় একটি টিমের সাথে যুক্ত হয়ে পরিচ্ছন্ন দেশ গড়ার কাজে নেমে পড়লেন। সাধারণত শপথ পাঠ করিয়ে ঝাড়ু হাতে ফটোশুট শেষ হলেই তো তিনি চলে যাবার কথা, কিন্তু যাচ্ছেনা কেন? অসচেতন নাগরিকের ফেলা নোংরা আবর্জনাগুলো নিজ হাতেই পরিষ্কার করে যাচ্ছেন অবিরাম। ২ মিনিট, ৫ মিনিট বা ১০ মিনিট নয়, প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে নিজ হাতে পরিষ্কার করেছেন। শুধু কি তাই! পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে বিডি ক্লিন তারুণ্যেরা যে তীর হারা তরী বেয়ে চলেছেন তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে নিজ কন্ঠে গেয়েছেন “তীর হারা ঐ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবরে”। সাধারণ নাগরিকের সাথে শুধু একাত্মতা ঘোষণাই নয়, দীর্ঘসময় ধরে কাজের মাধ্যমে তিনি আজ প্রমাণ করে গেলেন পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত বাংলাদেশ এখন সবার একমাত্র চাওয়া। মাননীয় মেয়র মহোদয়, আমরা কথা দিচ্ছি, আপনি যেভাবে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন তার প্রতিদানে আগামী ১ বছরের মধ্যেই সকল নাগরিককে সচেতন করে আপনার ও আমাদের প্রিয় শহর ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তুলব।

একজন বিডি ক্লিন সদস্যদের অনুরুপ হয়ে দীর্ঘ সময় নোংরা আবর্জনা সাফ করে তিনি আজ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা দেখেই হয়তো বাংলাদেশ জুড়ে সকল সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র মহোদয়গণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে অনুপ্রাণিত হবেন। ধন্যবাদ দিতে বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাইনা, শুধু স্যালুট জানাতে চাই।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমি তোমাদের সাথে একত্রে কাজ করতে চাই- মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন

আপডেট সময় : ১২:০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ফরিদ ভাইয়ের টাইমলাইন থেকেঃ আমি তোমাদের সাথে কাজ করতে চাই, আমি জানি তোমরাই পারবে। আর সে কারণেই মেয়র হিসেবে নয়, তোমাদের সহযোদ্ধা হয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমিও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমিও চাই আমাদের দেশের শিশুরা বড় হোক সবুজে ভরপুর, পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর এক বাংলাদেশে। আমাকে কি টিশার্ট একটি দেওয়া যাবে? আমি কোন টিমে কাজ করবো?? কে আমাকে টিমে নিবে???…….. ঠিক এমন করেই বলছিলেন জনাব Atiqul Islam মাননীয় মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

বিডি ক্লিন ঢাকা এর সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নিয়মানুযায়ী গ্রুপ ছবি তোলা শেষে লাল সবুজে আবৃত তারুণ্যেরা যখন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার শপথে অংশ নিতে প্রস্তুত, ঠিক এমন সময়ে কালো রঙের একটি গাড়ি তাদের সামনে এসে থামলো। অনাকাঙ্ক্ষিত সে গাড়ি থেকে যিনি নেমে এলেন তা দেখে বিডি ক্লিন ঢাকা সদস্যরা প্রায় হতবম্ব। কিন্তু নগর পিতাকে চিনতে তো কারোরই ভূল হবার কথা নয়, তবুও তারা অবাক তাকিয়ে আছেন তার দিকেই। হয়তো সবাই তখন ভাবছিলেন আমরা কি সত্যিই নগর পিতাকে দেখছি!! হিসেব তো মিলেনা!!! অবাক সে মানুষটি সবার সামনে এসে যখন নিজের অভিব্যক্তি তারুণ্যের উদ্দেশ্যে ব্যাক্ত করলেন, লাল-সবুজে আবৃত অদম্য তারুণ্যের চোখে মুখে তখন আনন্দের ছাপ। মুহুর্তেই করতালির মাধ্যমে বরন করে নিলেন নগর পিতাকে।


পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার শপথ পাঠ শেষে বিস্ময় মেয়র মহোদয় একটি টিমের সাথে যুক্ত হয়ে পরিচ্ছন্ন দেশ গড়ার কাজে নেমে পড়লেন। সাধারণত শপথ পাঠ করিয়ে ঝাড়ু হাতে ফটোশুট শেষ হলেই তো তিনি চলে যাবার কথা, কিন্তু যাচ্ছেনা কেন? অসচেতন নাগরিকের ফেলা নোংরা আবর্জনাগুলো নিজ হাতেই পরিষ্কার করে যাচ্ছেন অবিরাম। ২ মিনিট, ৫ মিনিট বা ১০ মিনিট নয়, প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে নিজ হাতে পরিষ্কার করেছেন। শুধু কি তাই! পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে বিডি ক্লিন তারুণ্যেরা যে তীর হারা তরী বেয়ে চলেছেন তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে নিজ কন্ঠে গেয়েছেন “তীর হারা ঐ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবরে”। সাধারণ নাগরিকের সাথে শুধু একাত্মতা ঘোষণাই নয়, দীর্ঘসময় ধরে কাজের মাধ্যমে তিনি আজ প্রমাণ করে গেলেন পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত বাংলাদেশ এখন সবার একমাত্র চাওয়া। মাননীয় মেয়র মহোদয়, আমরা কথা দিচ্ছি, আপনি যেভাবে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন তার প্রতিদানে আগামী ১ বছরের মধ্যেই সকল নাগরিককে সচেতন করে আপনার ও আমাদের প্রিয় শহর ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তুলব।

একজন বিডি ক্লিন সদস্যদের অনুরুপ হয়ে দীর্ঘ সময় নোংরা আবর্জনা সাফ করে তিনি আজ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা দেখেই হয়তো বাংলাদেশ জুড়ে সকল সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়র মহোদয়গণ পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে অনুপ্রাণিত হবেন। ধন্যবাদ দিতে বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাইনা, শুধু স্যালুট জানাতে চাই।