অনলাইন স্পোর্টস ডেস্কঃ এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব ১৯, ৩০ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ দল। আকবর আলীর নেতৃত্বে গ্রুপপর্ব থেকে দারুণ খেলে সেমিফাইনালে বৃষ্টির আশীর্বাদে শিরোপা নিষ্পত্তি ম্যাচের টিকিট পেয়েছিলো জুনিয়র টাইগাররা। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ফাইনালে আশাও জাগিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ছোট্ট রানের লক্ষ্যও পেরোতে পারলো না তৌহিদ হৃদয়রা।
ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে শিরোপা হারালো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ১০৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে মাত্র ১০১ রানে। ফলে প্রথমবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার দেখা পেলো না যুবারা।
শনিবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বল হাতে দারুণ ভেলকি দেখিয়েছিলো জুনিয়র টাইগাররা। শক্তিশালী ভারতকে মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে দিয়ে শিরোপার গন্ধ পেতে শুরু করেছিলো। কিন্তু ব্যাট হাতে নিয়ে ভারতীয় বোলারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিলো যুবারা। ৫০ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারালে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। পরে সেনাপতি আকবর আলী ও মৃত্যুঞ্জয়ের জুটিতে আশার আলো দেখেছিলো। কিন্তু সেটাও আর শেষ পর্যন্ত জ্বলেনি।
আকবর ২৩, মৃত্যুঞ্জয় ২১, সাকিব ১২ ও রাকিব ১১ রান করেন। তাছাড়া মিস্টার এক্সট্রা থেকে আসে ১৮ রান।
বাংলাদেশের ইনিংস মূলত ধসে যায় আকাশ সিংয়ের বোলিংয়ে। মাত্র ৫ ওভার বল করে ১২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন তিনি। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার আথার্ভ আঙ্কোলেকার ৮ ওভারে ২৮ রানের বিনিময়ে নেন ৫টি উইকেট। আঙ্কোলেকারের ওভারেই সাকিব ও শাহীন ফিরে গেলে শেষ হয় জুনিয়রদের ইনিংস।
ভারতের ইনিংসে ১০৬ রান আসার নেপথ্যে ছিলেন দলনায়ক ধ্রুব জুরেল ও করণ লাল। ৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শাশ^ত রাওয়াতকে নিয়ে ভারতের হাল ধরেন জুরেল। ৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এজুটি ভাঙার পর আবারও মড়ক লেগেছিলো ভারতের ইনিংসে। ছোট ছোট দুটি জুটিতে ভর করে দলের রান শত পার করেন করণ লাল। জুরেল ৩৩, লাল ৩৭ ও রাওয়াত ১৯ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে মৃত্যুঞ্জয় ও শামীম ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া সাকিব ও শাহীন একটি করে উইকেটের দেখা পান।
শিরোনাম :
- হোম
- Uncategorized
- আশা ডুবে যায় হতাশায়
আশা ডুবে যায় হতাশায়
- বার্তা কক্ষ
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- ২৫০ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ