ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেডিকেলে ভর্তি : কেন্দ্র ইনচার্জের মোবাইল থাকবে অ্যানালগ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৩৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র ইনচার্জের কাছেই থাকবে মোবাইল। সেটি থাকবে সম্পূর্ণ অ্যানালগ (স্মার্ট ফোন নয়)।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন। সভায় পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত করতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা গৃহীত হয়।
আগামী ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে শুরু হবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা নকলমুক্ত রাখতে কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে সব দিক থেকে প্রস্তুত রয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ পরীক্ষার্থীর একদিনে পরীক্ষা নেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হবে না। সিনিয়র অফিসাররা মাঠ তত্ত্বাবধান করবেন। আশা করি একটি চমৎকার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যারা যোগ্য তারাই এ পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে বেশকিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গৃহীত ব্যবস্থার মধ্যে- পরীক্ষা কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। সেই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে মোবাইল কোর্ট। পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ব্যতীত অন্য কোনো কাগজ সঙ্গে নিতে পারবে না। কলম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বচ্ছ সাধারণ মানের কলম নিতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে।

মেয়েদের তল্লাশির ক্ষেত্রে থাকবে আলাদা ব্যবস্থা। কেন্দ্র ইনচার্জ ব্যতীত কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্র ইনচার্জকে দেয়া হবে অ্যানালগ মোবাইল। তল্লাশি কাজে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব ধরনের গুজব বা প্রোপাগান্ডা রুখতে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অ্যাপসভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করবে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত গৃহীত ব্যবস্থা ও নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা সারাদেশসহ রাজধানীর ১১ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবে ৩৫ হাজার ৯৮৫ শিক্ষার্থী।
সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম মাকসুদুল আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. বিল্লাল আলম, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহ গোলাম নবী, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ মেডিকেল কলেজ ও ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রের প্রতিনিধি, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

মেডিকেলে ভর্তি : কেন্দ্র ইনচার্জের মোবাইল থাকবে অ্যানালগ

আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র ইনচার্জের কাছেই থাকবে মোবাইল। সেটি থাকবে সম্পূর্ণ অ্যানালগ (স্মার্ট ফোন নয়)।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন। সভায় পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত করতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা গৃহীত হয়।
আগামী ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে শুরু হবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা নকলমুক্ত রাখতে কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে সব দিক থেকে প্রস্তুত রয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ পরীক্ষার্থীর একদিনে পরীক্ষা নেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হবে না। সিনিয়র অফিসাররা মাঠ তত্ত্বাবধান করবেন। আশা করি একটি চমৎকার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যারা যোগ্য তারাই এ পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে বেশকিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গৃহীত ব্যবস্থার মধ্যে- পরীক্ষা কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। সেই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে মোবাইল কোর্ট। পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ব্যতীত অন্য কোনো কাগজ সঙ্গে নিতে পারবে না। কলম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বচ্ছ সাধারণ মানের কলম নিতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে।

মেয়েদের তল্লাশির ক্ষেত্রে থাকবে আলাদা ব্যবস্থা। কেন্দ্র ইনচার্জ ব্যতীত কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্র ইনচার্জকে দেয়া হবে অ্যানালগ মোবাইল। তল্লাশি কাজে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব ধরনের গুজব বা প্রোপাগান্ডা রুখতে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অ্যাপসভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করবে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত গৃহীত ব্যবস্থা ও নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা সারাদেশসহ রাজধানীর ১১ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবে ৩৫ হাজার ৯৮৫ শিক্ষার্থী।
সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম মাকসুদুল আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. বিল্লাল আলম, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহ গোলাম নবী, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ মেডিকেল কলেজ ও ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রের প্রতিনিধি, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা