ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌবন্দরে প্রবেশ ফি দ্বিগুণ হলো।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক; দেশের নদীবন্দরগুলোতে প্রবেশ ফি ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। বর্ধিত ফি মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া নদীবন্দর ও ফেরিঘাটগুলোর বিভিন্ন ফিও বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ মাহাবুব-উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যেসব নদীবন্দর ও ফেরিঘাটের ইজারা দিতে টেন্ডার ডাকা হয়নি সেখানে বিভিন্ন ধরনের চার্জ ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে বাড়ছে। তবে যেখানে টেন্ডার ডাকা হয়েছে, সেখানে আগের হারেই ফি আদায় করা হবে। সেখানে পুনর্নির্ধারিত ফি কার্যকর হবে আগামী বছর থেকে।
লঞ্চঘাটে যাত্রী প্রবেশ ফি ছাড়াও ১৮টির মতো খাতে শুল্ক হার বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান। এছাড়া শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গাড়ি প্রবেশেও গুনতে হবে বাড়তি ফি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, চাঁদপুর, খুলনা, নরসিংদী, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলার টার্মিনাল ভবনে প্রবেশ ফি ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা আদায় করা হবে।
এছাড়া ভবন নেই বা আধাপাকা টিনশেড আছে এমন টার্মিনাল যেমন- আরিচা, শিমুলিয়া, আশুগঞ্জ, ভৈরববাজার, দৌলতদিয়া, নগরবাড়ী, টঙ্গী, কক্সবাজার, চর জানাজাত, মেঘনাঘাটসহ অন্যান্য ঘাটের ফি ৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা এবং ওয়েসাইড লঞ্চ স্টেশন, টার্মিনাল বা জেটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হয়েছে।
নতুন ফি অনুযায়ী ফেরিঘাটে গাড়ি প্রবেশের ফি বাড়বে ২০ থেকে ৩৩ শতাংশ। ফেরি টার্মিনালে বাস, ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্রেলার ও ট্যাঙ্ক-লরি প্রবেশে বিআইডব্লিউটিএর ফি ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা; মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও স্টেশন ওয়াগন প্রবেশে ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা এবং টেম্পোসহ তিন চাকার যানবাহনে ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের সব নদীবন্দরে বিআইডব্লিউটিএর সড়ক ব্যবহারের ফিও বেড়েছে। বন্দর এলাকায় বোঝাই বাস-ট্রাক প্রবেশে ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে।
নতুন ফি অনুযায়ী নৌযান মালিকদের ওপর বেশি ফি আরোপ হয়েছে। নৌপথ সংরক্ষণ যেমন ড্রেজিং, সিগন্যাল বাতি স্থাপনসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় নৌযান থেকে কঞ্জারভেন্সি চার্জ আদায় করে বিআইডব্লিউটিএ। এ খাতের ফি দিতে হয় নৌযান মালিকদের। কঞ্জারভেন্সি ফি লঞ্চ ও জাহাজ থেকে যাত্রীপ্রতি বছরে ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৫ টাকা, স্পিডবোটে যাত্রীপ্রতি ৪১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা এবং সব পণ্যবাহী জাহাজ ও ফিশিং ট্রলার থেকে প্রতি গ্রস টনে ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া বিদেশি পতাকাবাহী মালবাহী জাহাজের ফি ১৭২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২১০ টাকা হয়েছে। তবে নৌ প্রটোকলের অধীনে থাকা জাহাজের আওতায় আসবে না। নৌপথে জাহাজ সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা দেয় বিআইডব্লিউটিএর পাইলটরা। প্রতি ৮ ঘণ্টার (প্রতি বিট) জন্য পাইলটেজ ফি ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

নৌবন্দরে প্রবেশ ফি দ্বিগুণ হলো।

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯

নিউজ ডেস্ক; দেশের নদীবন্দরগুলোতে প্রবেশ ফি ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। বর্ধিত ফি মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া নদীবন্দর ও ফেরিঘাটগুলোর বিভিন্ন ফিও বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ মাহাবুব-উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যেসব নদীবন্দর ও ফেরিঘাটের ইজারা দিতে টেন্ডার ডাকা হয়নি সেখানে বিভিন্ন ধরনের চার্জ ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে বাড়ছে। তবে যেখানে টেন্ডার ডাকা হয়েছে, সেখানে আগের হারেই ফি আদায় করা হবে। সেখানে পুনর্নির্ধারিত ফি কার্যকর হবে আগামী বছর থেকে।
লঞ্চঘাটে যাত্রী প্রবেশ ফি ছাড়াও ১৮টির মতো খাতে শুল্ক হার বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান। এছাড়া শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গাড়ি প্রবেশেও গুনতে হবে বাড়তি ফি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, চাঁদপুর, খুলনা, নরসিংদী, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলার টার্মিনাল ভবনে প্রবেশ ফি ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা আদায় করা হবে।
এছাড়া ভবন নেই বা আধাপাকা টিনশেড আছে এমন টার্মিনাল যেমন- আরিচা, শিমুলিয়া, আশুগঞ্জ, ভৈরববাজার, দৌলতদিয়া, নগরবাড়ী, টঙ্গী, কক্সবাজার, চর জানাজাত, মেঘনাঘাটসহ অন্যান্য ঘাটের ফি ৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা এবং ওয়েসাইড লঞ্চ স্টেশন, টার্মিনাল বা জেটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হয়েছে।
নতুন ফি অনুযায়ী ফেরিঘাটে গাড়ি প্রবেশের ফি বাড়বে ২০ থেকে ৩৩ শতাংশ। ফেরি টার্মিনালে বাস, ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ট্রেলার ও ট্যাঙ্ক-লরি প্রবেশে বিআইডব্লিউটিএর ফি ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা; মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও স্টেশন ওয়াগন প্রবেশে ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা এবং টেম্পোসহ তিন চাকার যানবাহনে ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের সব নদীবন্দরে বিআইডব্লিউটিএর সড়ক ব্যবহারের ফিও বেড়েছে। বন্দর এলাকায় বোঝাই বাস-ট্রাক প্রবেশে ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে।
নতুন ফি অনুযায়ী নৌযান মালিকদের ওপর বেশি ফি আরোপ হয়েছে। নৌপথ সংরক্ষণ যেমন ড্রেজিং, সিগন্যাল বাতি স্থাপনসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় নৌযান থেকে কঞ্জারভেন্সি চার্জ আদায় করে বিআইডব্লিউটিএ। এ খাতের ফি দিতে হয় নৌযান মালিকদের। কঞ্জারভেন্সি ফি লঞ্চ ও জাহাজ থেকে যাত্রীপ্রতি বছরে ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৫ টাকা, স্পিডবোটে যাত্রীপ্রতি ৪১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা এবং সব পণ্যবাহী জাহাজ ও ফিশিং ট্রলার থেকে প্রতি গ্রস টনে ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া বিদেশি পতাকাবাহী মালবাহী জাহাজের ফি ১৭২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২১০ টাকা হয়েছে। তবে নৌ প্রটোকলের অধীনে থাকা জাহাজের আওতায় আসবে না। নৌপথে জাহাজ সঠিক পথে চলার দিকনির্দেশনা দেয় বিআইডব্লিউটিএর পাইলটরা। প্রতি ৮ ঘণ্টার (প্রতি বিট) জন্য পাইলটেজ ফি ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।