ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবরার হত্যার বিচারের দাবীতে মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত বুয়েট ক্যাম্পাস

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃ‘আবরার, আবরার’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস (আবরার হত্যার বিচার চাই)।’ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই স্লোগানে প্রকম্পিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তার সহপাঠীরা। তারা বুয়েট ক্যাম্পাস ও হল থেকে ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাস’ বন্ধের দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিরোধী স্লোগানও দিচ্ছেন তারা।

এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয় বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। রাতে বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে আবরারের জানাজার পর বিক্ষোভ শেষে আন্দোলন করার ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, খুনিদের মামলার সকল ব্যয়ভার বুয়েট প্রশাসনের বহনের দায়িত্ব নেয়া, আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, বুয়েট শিক্ষার্থীর হত্যার পরও ভিসি কেন ক্যাম্পাসে আসেনি তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া উল্লেখযোগ্য।
রোববার (৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েক জনকে অভিযুক্ত করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার ১০ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতাকৃতরা হচ্ছেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির আলম জেমি(২১), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির(২১), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ(২১), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান রবিন (২২), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির আলম জেমি(২১)।
নিহত আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

আবরার হত্যার বিচারের দাবীতে মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত বুয়েট ক্যাম্পাস

আপডেট সময় : ১১:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৯

নিউজ ডেস্কঃ‘আবরার, আবরার’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস (আবরার হত্যার বিচার চাই)।’ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই স্লোগানে প্রকম্পিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তার সহপাঠীরা। তারা বুয়েট ক্যাম্পাস ও হল থেকে ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাস’ বন্ধের দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিরোধী স্লোগানও দিচ্ছেন তারা।

এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয় বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। রাতে বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে আবরারের জানাজার পর বিক্ষোভ শেষে আন্দোলন করার ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, খুনিদের মামলার সকল ব্যয়ভার বুয়েট প্রশাসনের বহনের দায়িত্ব নেয়া, আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, বুয়েট শিক্ষার্থীর হত্যার পরও ভিসি কেন ক্যাম্পাসে আসেনি তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া উল্লেখযোগ্য।
রোববার (৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েক জনকে অভিযুক্ত করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার ১০ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতাকৃতরা হচ্ছেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির আলম জেমি(২১), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির(২১), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ(২১), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান রবিন (২২), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনতাসির আলম জেমি(২১)।
নিহত আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়।