ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবুগঞ্জ দাঁপিয়ে বেড়ানো সাম্বাদিক টাউট ঈমন,গ্রেফতার

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রিন্স তালুকদারঃগত ১৮ই অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ ধরতে গিয়ে কোষ্টগার্ডের হাতে আটক হয়েছে ১০ জন ভূয়া ইলিশ সাংবাদিক। প্রতিবছর এরা ক্রাইম রিপোর্টাস এর নাম পরিচয় ব্যবহার করে এবং ক্রাইম রিপোর্টাস এর গেঞ্জি গায়ে দিয়ে মা ইলিশ নিধন করে আসছে।

প্রশাসনের লোক দেখলেই নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পার পেয়ে যায়। এবিষয়ে কখনো প্রশাসন জানতে চাইলে ইলিশ সাংবাদিকরা তাদের জবাবে একটু দেখতে নামছি বলে চালিয়ে দেয়। এবার আর তাদের সেই সুযোগ হয় নাই। জাল তোলা অবস্থায় তাদের আটক করে কোষ্ট গার্ড বরিশাল বগুড়া জাহাজের সদস্যরা। এসব জেলে সাংবাদিকদের নিকট একটি ট্রলার ও ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ২০ কেজি মা ইলিশ পাওয়া যায়। আটককৃত ইলিশ নিধন সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোর্শেদ আলী ইমন।
যিনি বাবুগঞ্জ দাঁপিয়ে বেড়ানো সাম্বাদিক। টাউট ঈমন নামে যার সর্বাধিক খ্যাতি রয়েছে। মুরগী, ছাগল চুরি, সেডিল ইঞ্জেকশকন দিয়ে চেতনা নাশক করে ধর্ষন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের মহানায়ক এই টাউট ঈমন। সকল অপকর্ম থেকে পার পেয়ে যান বোনের মহিমায়। তার বোন বাবুগঞ্জের মাধবপাশার আলোচিত লিপি মেম্বার। দোয়ারিকার পুরাতন ফেরীঘাটের এক প্রতিবন্ধী মেয়েকে দিনে দুপুরে ধর্ষন করেছিলেন এই টাউট ঈমন। অন্য পত্রিকার সহকর্মী রাকিব, রিয়াজ, ফাহাদ, ফয়ছাল, নাঈম, আরিফ, নীরবসহ অনান্যদের সাথে টাউট ঈমনের ধর্ষন নিউজ কাভারেজ করছিলাম। রাত হয়ে গিয়েছিল, হঠাৎ বিপত্তি ঘটালো বাবুগঞ্জের মাধবপাশার আলোচিত সেই লিপি মেম্বার, টাউট ঈমনের বোন। প্রথমে আমাদের ভয়ভীতি দেখালেন, ব্যর্থ হয়ে এক সিনিয়র সাংবাদিকের মাধ্যমে ফোন দিয়ে থামিয়ে দেন নিউজ করা থেকে। তবে বাবুগঞ্জ তথা বরিশালের মানুষ কিছুটা হলেও এখন সনাক্ত করতে পেরেছে ভূয়া সাংবাদিক। তাই সবাই সতর্ক থাকবেন ভূয়া সাংবাদিক থেকে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

বাবুগঞ্জ দাঁপিয়ে বেড়ানো সাম্বাদিক টাউট ঈমন,গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯

প্রিন্স তালুকদারঃগত ১৮ই অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ ধরতে গিয়ে কোষ্টগার্ডের হাতে আটক হয়েছে ১০ জন ভূয়া ইলিশ সাংবাদিক। প্রতিবছর এরা ক্রাইম রিপোর্টাস এর নাম পরিচয় ব্যবহার করে এবং ক্রাইম রিপোর্টাস এর গেঞ্জি গায়ে দিয়ে মা ইলিশ নিধন করে আসছে।

প্রশাসনের লোক দেখলেই নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পার পেয়ে যায়। এবিষয়ে কখনো প্রশাসন জানতে চাইলে ইলিশ সাংবাদিকরা তাদের জবাবে একটু দেখতে নামছি বলে চালিয়ে দেয়। এবার আর তাদের সেই সুযোগ হয় নাই। জাল তোলা অবস্থায় তাদের আটক করে কোষ্ট গার্ড বরিশাল বগুড়া জাহাজের সদস্যরা। এসব জেলে সাংবাদিকদের নিকট একটি ট্রলার ও ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ২০ কেজি মা ইলিশ পাওয়া যায়। আটককৃত ইলিশ নিধন সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোর্শেদ আলী ইমন।
যিনি বাবুগঞ্জ দাঁপিয়ে বেড়ানো সাম্বাদিক। টাউট ঈমন নামে যার সর্বাধিক খ্যাতি রয়েছে। মুরগী, ছাগল চুরি, সেডিল ইঞ্জেকশকন দিয়ে চেতনা নাশক করে ধর্ষন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের মহানায়ক এই টাউট ঈমন। সকল অপকর্ম থেকে পার পেয়ে যান বোনের মহিমায়। তার বোন বাবুগঞ্জের মাধবপাশার আলোচিত লিপি মেম্বার। দোয়ারিকার পুরাতন ফেরীঘাটের এক প্রতিবন্ধী মেয়েকে দিনে দুপুরে ধর্ষন করেছিলেন এই টাউট ঈমন। অন্য পত্রিকার সহকর্মী রাকিব, রিয়াজ, ফাহাদ, ফয়ছাল, নাঈম, আরিফ, নীরবসহ অনান্যদের সাথে টাউট ঈমনের ধর্ষন নিউজ কাভারেজ করছিলাম। রাত হয়ে গিয়েছিল, হঠাৎ বিপত্তি ঘটালো বাবুগঞ্জের মাধবপাশার আলোচিত সেই লিপি মেম্বার, টাউট ঈমনের বোন। প্রথমে আমাদের ভয়ভীতি দেখালেন, ব্যর্থ হয়ে এক সিনিয়র সাংবাদিকের মাধ্যমে ফোন দিয়ে থামিয়ে দেন নিউজ করা থেকে। তবে বাবুগঞ্জ তথা বরিশালের মানুষ কিছুটা হলেও এখন সনাক্ত করতে পেরেছে ভূয়া সাংবাদিক। তাই সবাই সতর্ক থাকবেন ভূয়া সাংবাদিক থেকে।