ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জান্নাতীকে হত্যার কথা স্বীকার করে গৃহকর্ত্রীর জবানবন্দি

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩১১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ঢাকার মোহাম্মদপুরে শিশু গৃহকর্মী জান্নাতীকে হত্যার দায়ে গৃহকর্ত্রী রোকসানাকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে শিশু গৃহকর্মী জান্নাতী হত্যার ঘটনায় গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ দুপুরে আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে তিনি এই জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন, মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত আবদুল আলীম।
আবদুল আলীম জানান, মামলার অপর আসামি রোকসানা পারভিনের স্বামী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ পলাতক আছেন।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জান্নাতীকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, সে অনেক আগেই মারা গেছে। জান্নাতী স্যার সৈয়দ রোডের একটি ছয়তলা ভবনের এক তলায় কাজ করত। ওই ফ্ল্যাটটি পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদের। বাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী রোকসানা পারভিন, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ও বোন । ঘটনার সময় সাঈদ আহমেদ বাসায় ছিলেন। তেজগাঁও বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রোকসানা বলেন মারধরের পর জান্নাতী অজ্ঞান হয়ে রান্নাঘরে পড়ে যায়। ওই অবস্থাতেই দুই ঘণ্টার মতো ঘরে পড়েছিল। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানায় আগেই সে মারা গেছে।
রোকসানা পারভিন স্বীকারোক্তিতে তাঁর স্বামীর সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তথ্য দেননি। আরও অনেক কিছুই চেপে গেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ সূত্র জানায়, জান্নাতীর শরীরের নতুন-পুরোনো অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁরা ধারণা করছেন মৃত্যুর আগে জান্নাতী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার হামিদ!

জান্নাতীকে হত্যার কথা স্বীকার করে গৃহকর্ত্রীর জবানবন্দি

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ঢাকার মোহাম্মদপুরে শিশু গৃহকর্মী জান্নাতীকে হত্যার দায়ে গৃহকর্ত্রী রোকসানাকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে শিশু গৃহকর্মী জান্নাতী হত্যার ঘটনায় গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ দুপুরে আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে তিনি এই জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন, মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত আবদুল আলীম।
আবদুল আলীম জানান, মামলার অপর আসামি রোকসানা পারভিনের স্বামী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদ পলাতক আছেন।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জান্নাতীকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, সে অনেক আগেই মারা গেছে। জান্নাতী স্যার সৈয়দ রোডের একটি ছয়তলা ভবনের এক তলায় কাজ করত। ওই ফ্ল্যাটটি পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাঈদ আহমেদের। বাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী রোকসানা পারভিন, সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ও বোন । ঘটনার সময় সাঈদ আহমেদ বাসায় ছিলেন। তেজগাঁও বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রোকসানা বলেন মারধরের পর জান্নাতী অজ্ঞান হয়ে রান্নাঘরে পড়ে যায়। ওই অবস্থাতেই দুই ঘণ্টার মতো ঘরে পড়েছিল। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানায় আগেই সে মারা গেছে।
রোকসানা পারভিন স্বীকারোক্তিতে তাঁর স্বামীর সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তথ্য দেননি। আরও অনেক কিছুই চেপে গেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গ সূত্র জানায়, জান্নাতীর শরীরের নতুন-পুরোনো অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁরা ধারণা করছেন মৃত্যুর আগে জান্নাতী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।