চরফ্যাশনে দলিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মতবিনিময় সভা
নিউজ ডেস্কঃ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় দলিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গল বার ২৯ অক্টোবর সকাল ১১ টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে নাগরিক উদ্যোগ এর আয়োজনে ও ব্রোট এর সহযোগীতায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুজাহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আকন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন ও জেলা দলিত জনগোষ্ঠী আন্দোলন এর সভাপতি চন্দ্রমোহন ছিডু। এসময় চরফ্যাশন উপজেলা দলিত জনগোষ্ঠী আন্দোলন এর সভাপতি বিপ্লব চন্দ্র কমলের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতপাত ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার বাস্তবায়ন ও বৈষম্য রোধে গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এদেশের পিছিয়ে পড়া ৬৫ লাখ দলিত জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের সমান অংশীদার হিসেবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ দলিত শ্রেণীও যেন আর বঞ্চিত না হয় সেদিকে সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি দিতে হবে এবং পিছিয়ে পড়া দলিত জনগোষ্ঠীকে সামাজিক উন্নয়নের মূল ধারায় অন্তর্ভূক্ত করতে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। অতিথিদের বক্তব্য শেষে সভায় বিপ্লব চন্দ্র কমল দলিত জনগোষ্ঠী আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর পক্ষ থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। ৮ দফা দাবিগুলো হলো (১) জাতপাত ও পেশাভিত্তিক বৈষম্য প্রতিরোধে আইন কমিশন সুপারিশকৃত প্রস্তাবিত ”বৈষম্য বিলোপ আইন” দ্রুত প্রণয়ন করতে হবে। (২) দেশের সকল জেলার দলত জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনতে হবে। (৩) সকল মহানগরী ও পৌরসভা সমূহে দলিত জনগোষ্ঠীর আবাসন সমস্যা সমাধানে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দলিতদের মধ্যে খাস জমি বরাদ্দ দিতে হবে। (৪) পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিশেষ বিবেচনায় এনে তাদের সুরক্ষার সকল উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। (৫) দলিত জনগোষ্ঠীকে বিকল্প পেশায় উৎসাহিত করতে তাদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াতে হবে। (৬) দলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া রোধকল্পে সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ এবং এই জনগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ উপবৃত্তি প্রদান করতে হবে। (৭) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলিত। ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি কোটা প্রবর্তন করতে হবে। (৮) সরকারি চাকরিতে দলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
Post Views: 5