মোঃ সাইফুল ইসলাম:প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ডাকাত, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতারকচক্রসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই বিশেষ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ ২৩.৩০ ঘটিকায় র্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল জুবায়ের হোসেন সুমন(৪১), পিতা- মৃত এমএ মান্নান খান, সাং- রূপাতলী, থানা- কোতয়ালী, বিএমপি,বরিশালকে বরিশাল মহানগরীর বন্দর থানাধীন বরিশাল ভোলা রোড এর কর্ণকাঠি সাকিনস্থ বোর্ড স্কুলের সামনে থেকে গ্রেফতার করে। সে একজন অস্ত্রধারী মাদক বিক্রেতা, সেবী ও প্রতারক। জুবায়ের হোসেন সুমন ২০০০ সালে, ডেনমার্কের একটি বেসরকারী কোম্পানীতে টিউবওয়েল মেরামত ও প্রতিস্থাপনের কাজে ম্যানেজারের সহযোগী হিসেবে পাথরঘাটায় কাজ শুরু করে। ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সে বিভিন্ন দেশীয় কোম্পানীতে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করে।
২০১৭ সাল থেকে সে টিউবওয়েল স্থাপনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আঞ্চলিক ডিজিটাল তথ্য কেন্দ্র হতে বিভিন্ন এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বার এর তথ্য সংগ্রহ পূর্বক টিউবওয়েল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে লক্ষ লক্ষ টাকা বিকাশের মাধ্যমে আত্নসাৎ করে। সে নিজের বিকাশ নাম্বার ব্যবহার না করে টাকা গ্রহণের সময় কোন এজেন্টের নিকট গিয়ে তাকে অতিরিক্ত টাকা প্রদান করে এ সকল টাকা ক্যাশ আউট করত বলে স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তী অনুযায়ী সে তার নিজের নেশার চাহিদা মেটানোর জন্য এসকল প্রতারণার আশ্রয় নিত। সে কক্সবাজার, সিলেট, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর অংকের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও সে অস্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম করে বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকালে তার বহনকৃত ব্যাগে উপস্থিত সাক্ষীগণের সম্মুখে তল্লাশী করে ০১ টি বিদেশী পিস্তল, ০৪ রাউন্ড গুলি, ০২ টি ধারালো ছোরা ও ১৯৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব এ ধরণের আভিযানিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।