নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বঙ্গোপসাগড়ে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দ্বীপ জেলার মানুষ। বিশেষ করে ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের বাসিন্দারা রয়েছে চরম আতঙ্কের মধ্যে। সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। চলছে একটানা বৃষ্টিপাত।
জেলার মনপুরা ও ঢাল চরের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশী মানুষ ইতোমধ্যে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও স্টাউটস এর মোট ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলো এ স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ শুরু করে দিয়েছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রের আনার কাজও শুরু হয়েছে।
এদিকে ঘুর্ণিঝর মোকাবেলায় ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে ভোলার জন্য নগদ ১০ লক্ষ টাকা, দুই’শ মেট্রিকটন চাল ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলায় এক লক্ষ টাকা এবং ২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
তিনি আরো জানান, জেলার ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষকে মূল ভূখন্ডে আনার কাজ চলছে। যাতে করে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলে একটিও প্রাণহানি না ঘটে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
গবাদী পশুর জন্য ৩৯টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মসজিদের মাইকেও প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো আশ্রয় কেন্দ্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগন যদি এগুলো খুলে দিতে দেরী করে অথবা দায়িত্বে অবহেলা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান জেলা প্রশাসক।