মোঃ সাইফুল ইসলাম: এলিট ফোর্স র্যাব তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে।র্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে জঙ্গী/উগ্রপন্থী দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জঙ্গী/উগ্রপন্থী গোষ্ঠী সমূহ আগের মত শক্তিশালী না থাকলেও গোপনে তারা যেন পুনরায় সংগঠিত না হতে পারে তার জন্য র্যাব সদা জাগ্রত। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে র্যাব বরিশাল অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গী/উগ্রপন্থীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পায় এবং এদের গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে তৎপরতা শুরু করে।
১২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর আভিযানিক দল জানতে পারে যে, উগ্রপন্থীর একজন সক্রিয় সদস্য বিএমপি বিমানবন্দর থানাধীন গড়িয়ারপাড় টু বানারীপাড়া রোডের গজালিয়া নামক স্থানে অবস্থান করতেছে। এর প্রেক্ষিতে-৮ এর বিশেষ আভিযানিক দল বরিশালের বিমানবন্দর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২২.৫০ ঘটিকায় ০১(এক) জন জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার করে। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী পূর্বক বিভিন্ন প্রকার উগ্রপন্থী লিফলেট এবং বই উদ্ধার করা হয়।
ক। আলি আকবর (৩৭), পিতা- মোঃ ফয়জল হক শনি, সাং-জয়নুদ্দিন মাদবর কান্দি, ইউনিয়ন- নাওডোবা, থানা-জাজিরা, জেলা-শরিয়তপুর।
গ্রেফতারকৃত আলি আকবর’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে জেএমবি’র শরিয়াতপুর জেলার আঞ্চলিক কমান্ডার। সে ২০১৩ সালে ঢাকায় বেসরকারী কোম্পানীতে চাকুরীর মাধ্যমে তার কর্ম জীবন শুরু করে এবং ২০১৪ সালে নারায়নগঞ্জে বেসরকারি ফার্মে চাকুরী করে। ২০১৫ সালের শুরুতে সে শীর্ষ জেএমবি নেতা তরিকুল ইসলাম সাকিব এর সান্নিধ্যে জেএমবি কর্মকান্ডে অনুপ্রানিত হয় এবং উগ্রপন্থী কাজ পরিচালনার জন্য ঢাকা, নারায়গঞ্জ, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গমন করে। সে তার নিজের এলাকায় জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সে বিভিন্ন জেলা শহরে গোপনে সভা ও উগ্রপন্থি পরিকল্পনায় সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করে এবং এরই অংশ হিসাবে সে বরিশালে আগমন করে।
গ্রেফতারকৃত আলি আকবর এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
তার অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্যর্যাব-৮ তৎপর রয়েছে।