ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়ক পরিবহন আইনের প্রতিবাদে কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন ধর্মঘট

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল বুধবার, ২০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান আজ মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিতসহ ৯ দফা দাবিতে তাদের এ কর্মসূচি। দাবি না মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব তাজুল ইসলামসহ মালিক শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত মাসে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-র ধারা ১ এর উপ-ধারা (২) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার ১ নভেম্বর আইন কার্যকরের দিন ধার্য করে। গত বছরের ৮ অক্টোবরে আইনটির গেজেট জারি করা হলেও তার কার্যকারিতা ঝুলে থাকায় এ নিয়ে আদালতে রিট আবেদনও হয়।
এই আইন অনুযায়ী, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত বা নিহত হলে এ সংক্রান্ত অপরাধ দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর এ সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে দণ্ডবিধির ৩০৪-বি ধারাতে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আইনের ১১৪ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ইত্যাদির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি (১৮৯৮) প্রযোজ্য হবে। আইনটি প্রণয়নের পর থেকে এর প্রবল বিরোধিতা করে আসছিল পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। তাঁদের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনার মামলায় নতুন আইনে শাস্তির মাত্রা অনেক বেশি।
একই দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

সড়ক পরিবহন আইনের প্রতিবাদে কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন ধর্মঘট

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল বুধবার, ২০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান আজ মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিতসহ ৯ দফা দাবিতে তাদের এ কর্মসূচি। দাবি না মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব তাজুল ইসলামসহ মালিক শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত মাসে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-র ধারা ১ এর উপ-ধারা (২) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার ১ নভেম্বর আইন কার্যকরের দিন ধার্য করে। গত বছরের ৮ অক্টোবরে আইনটির গেজেট জারি করা হলেও তার কার্যকারিতা ঝুলে থাকায় এ নিয়ে আদালতে রিট আবেদনও হয়।
এই আইন অনুযায়ী, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত বা নিহত হলে এ সংক্রান্ত অপরাধ দণ্ডবিধি-১৮৬০ এর এ সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে দণ্ডবিধির ৩০৪-বি ধারাতে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আইনের ১১৪ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ইত্যাদির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি (১৮৯৮) প্রযোজ্য হবে। আইনটি প্রণয়নের পর থেকে এর প্রবল বিরোধিতা করে আসছিল পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো। তাঁদের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনার মামলায় নতুন আইনে শাস্তির মাত্রা অনেক বেশি।
একই দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের বিভিন্ন জেলা বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে।