ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টাকার বিনিময় মেলে ‘জাল মেডিকেল’ সনদ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৮৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় ও অন্যান্য কর্মচারীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি প্রতারক চক্র ছুটি, মেডিকেল লিভ কিংবা পুলিশি মামলায় ইনজুরি রিপোর্টের জন্য ভুয়া সনদ সরবরাহ করে আসছিল। সরবরাহ করা ভুয়া ও জাল সনদের বিপরীতে গুরুত্ব অনুযায়ী চক্রটি হাতিয়ে নিত মোটা অঙ্কের টাকা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢামেক হাসপাতালের নার্সিং কলেজের ভেতরের গ্যারেজ থেকে হাতেনাতে জাল জন্ম-মৃত্যু সনদ, নকল সিল ও ইনজুরি সনদ, স্ট্যাম্পসহ মো. আরিফ (৫০) নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
আটক মো. আরিফ ঢামেক হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় হিসেবে কর্মরত বলে জানিয়েছে অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব-১০। র‌্যাব-১০ এর কর্মকর্তারা বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থের বিনিময়ে চক্রটি জাল সনদ তৈরি ও সরবরাহ করত। ঢামেক হাসপাতালের শুধু ওয়ার্ডবয় নয়, এ চক্রে আরও অনেকে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
র‌্যাব-১০ এর অভিযানের নেতৃত্বদানকারী মেজর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে মূলত জালিয়াতি চক্রটির কাছে বিভিন্ন জাল সনদ ও ইনজুরি সার্টিফিকেটের চাহিদা যায়। তারা মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই জাল সনদ সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, পুলিশের যেকোনো মামলায় প্রতিবেদনের জন্য অনেক ক্ষেত্রে ইনজুরি সনদ দরকার হয়, যা নরমালি একটা অফিসিয়াল সিস্টেমের মধ্যে হাসপাতাল থেকে পেতে সময় লাগে। এ সুযোগটি নিয়ে দালাল চক্রটি অল্প সময়ের ব্যবধানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মেডিকেল লিভের জন্য মেডিকেল সনদ, ইনজুরি সনদ সরবরাহ করত। এ ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরও তারা জাল করত। তিনি আরও বলেন, এর সাথে মেডিকেলের আরও কে কে জড়িত আছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টাকার বিনিময় মেলে ‘জাল মেডিকেল’ সনদ

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় ও অন্যান্য কর্মচারীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি প্রতারক চক্র ছুটি, মেডিকেল লিভ কিংবা পুলিশি মামলায় ইনজুরি রিপোর্টের জন্য ভুয়া সনদ সরবরাহ করে আসছিল। সরবরাহ করা ভুয়া ও জাল সনদের বিপরীতে গুরুত্ব অনুযায়ী চক্রটি হাতিয়ে নিত মোটা অঙ্কের টাকা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢামেক হাসপাতালের নার্সিং কলেজের ভেতরের গ্যারেজ থেকে হাতেনাতে জাল জন্ম-মৃত্যু সনদ, নকল সিল ও ইনজুরি সনদ, স্ট্যাম্পসহ মো. আরিফ (৫০) নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
আটক মো. আরিফ ঢামেক হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় হিসেবে কর্মরত বলে জানিয়েছে অভিযান পরিচালনাকারী র‌্যাব-১০। র‌্যাব-১০ এর কর্মকর্তারা বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থের বিনিময়ে চক্রটি জাল সনদ তৈরি ও সরবরাহ করত। ঢামেক হাসপাতালের শুধু ওয়ার্ডবয় নয়, এ চক্রে আরও অনেকে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
র‌্যাব-১০ এর অভিযানের নেতৃত্বদানকারী মেজর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে মূলত জালিয়াতি চক্রটির কাছে বিভিন্ন জাল সনদ ও ইনজুরি সার্টিফিকেটের চাহিদা যায়। তারা মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই জাল সনদ সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, পুলিশের যেকোনো মামলায় প্রতিবেদনের জন্য অনেক ক্ষেত্রে ইনজুরি সনদ দরকার হয়, যা নরমালি একটা অফিসিয়াল সিস্টেমের মধ্যে হাসপাতাল থেকে পেতে সময় লাগে। এ সুযোগটি নিয়ে দালাল চক্রটি অল্প সময়ের ব্যবধানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মেডিকেল লিভের জন্য মেডিকেল সনদ, ইনজুরি সনদ সরবরাহ করত। এ ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরও তারা জাল করত। তিনি আরও বলেন, এর সাথে মেডিকেলের আরও কে কে জড়িত আছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।