ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে স্কুলের বারান্দায় ফেলে সহকর্মীকে মারধর করা সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৫৪০ বার পড়া হয়েছে

 

নিউজ ডেস্ক :: বরিশালের মুলাদী উপজেলায় বিদ্যালয় চলাকালে শিক্ষার্থীদের সামনে সহকর্মীকে মারধর করে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মিনারা আক্তার লিপিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মুজমদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

অভিযুক্ত মিনারা আক্তার লিপি উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ৯৩ নম্বর চরকমিশনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

জানা গেছে, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চরকমিশনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার হ্যাপিকে বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে মারধর করেন সহকারী শিক্ষক মিনারা আক্তার লিপি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, শনিবার বার্ষিক পরীক্ষার শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে সহকারী শিক্ষক মিনারা আক্তার লিপি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে খুরশিদা আক্তার হ্যাপিকে বের হতে বলেন। হ্যাপি পরীক্ষা শেষ করে খাতাপত্র নিয়ে বের হবেন বলে জানালে লিপি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে লিপি কিল-ঘুষি দিয়ে ও দেয়ালে মাথা ঠুকে হ্যাপিকে মারাত্মক আহত করেন। পরে হ্যাপি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে লিপি বীরদর্পে বের হয়ে চলে যান। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলে তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বুধবার সকালে মিনারা আক্তার লিপিকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মুলাদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সহকারী শিক্ষিকা মিনারা আক্তার লিপির বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার হ্যাপি লিখিত অভিযোগ দিয়ে ছিলেন। দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি অভিযোগটি খতিয়ে দেখেন। তদন্তে মিনারা আক্তার লিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মুজমদার এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার হ্যাপিকে মারধরের ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে মিনারা আক্তার লিপির ঘনিষ্টজনরা জানান, সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার হ্যাপি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে পারদর্শী নন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়ে তিনি খুব একটা মনযোগীও নন। এনিয়ে বিভিন্ন সময় হ্যাপির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন লিপি। ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ঘটনার দিন হ্যাপি বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের কাছে লিপির নামে কটূক্তি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিপি তাকে মারধর করেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

বরিশালে স্কুলের বারান্দায় ফেলে সহকর্মীকে মারধর করা সেই শিক্ষিকা বরখাস্ত

আপডেট সময় : ০১:৫৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 

নিউজ ডেস্ক :: বরিশালের মুলাদী উপজেলায় বিদ্যালয় চলাকালে শিক্ষার্থীদের সামনে সহকর্মীকে মারধর করে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মিনারা আক্তার লিপিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মুজমদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

অভিযুক্ত মিনারা আক্তার লিপি উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ৯৩ নম্বর চরকমিশনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

জানা গেছে, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চরকমিশনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার হ্যাপিকে বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে মারধর করেন সহকারী শিক্ষক মিনারা আক্তার লিপি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, শনিবার বার্ষিক পরীক্ষার শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে সহকারী শিক্ষক মিনারা আক্তার লিপি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে খুরশিদা আক্তার হ্যাপিকে বের হতে বলেন। হ্যাপি পরীক্ষা শেষ করে খাতাপত্র নিয়ে বের হবেন বলে জানালে লিপি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে লিপি কিল-ঘুষি দিয়ে ও দেয়ালে মাথা ঠুকে হ্যাপিকে মারাত্মক আহত করেন। পরে হ্যাপি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে লিপি বীরদর্পে বের হয়ে চলে যান। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলে তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বুধবার সকালে মিনারা আক্তার লিপিকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মুলাদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, সহকারী শিক্ষিকা মিনারা আক্তার লিপির বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার হ্যাপি লিখিত অভিযোগ দিয়ে ছিলেন। দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি অভিযোগটি খতিয়ে দেখেন। তদন্তে মিনারা আক্তার লিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মুজমদার এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার হ্যাপিকে মারধরের ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে মিনারা আক্তার লিপির ঘনিষ্টজনরা জানান, সহকারী শিক্ষক খুরশিদা আক্তার হ্যাপি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে পারদর্শী নন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়ে তিনি খুব একটা মনযোগীও নন। এনিয়ে বিভিন্ন সময় হ্যাপির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন লিপি। ফলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ঘটনার দিন হ্যাপি বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের কাছে লিপির নামে কটূক্তি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিপি তাকে মারধর করেন।