নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুর ১ টার দিকে নারায়নগঞ্জের আল-আমিন নগর এলাকায় জাহাঙ্গীর সরদার (৪৫) নামীয় এক দুর্বৃত্ত সোহানা(২) নামে এক শিশুকে নির্যাতন করে।শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি আল-আমিন নগর এলাকার ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে।শিশুটি নারায়নগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।আসামী জাহাঙ্গীর সরদারকে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ফেরদৌসী আক্তার রেহানা ঘটনার খবর জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি নিজেই সিএনজি করে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়া যান। ফেরদৌসী আক্তার রেহানা শিশুটির চিকিৎসা খরচের জন্য তাৎক্ষণিক নগদ আর্থিক সহযোগিতা করেন এবং নির্যাতিত পরিবারকে সব ধরণের সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি শিশুটির সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। ফেরদৌসী আক্তার রেহানা এইধরণের নর পিশাচদের রুখতে সকলকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানান।
ঘটনার বিবরণে নির্যাতিত শিশুটির নানী মোরশেদার কাছ থেকে জানা গেছে, শিশুটির বাবা-মা শিশুটিকে নানী মোরশেদার কাছে রেখে প্রতিদিনের ন্যায় কাজে যায়। শিশুটি নানীর কাছে ঘরের পাশে খেলা করছিল। কোনো এক ফাঁকে আসামী জাহা্ঙ্গীর সরদার শিশুটিকে চকলেট ও খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে যায়। তিনি অনেক্ষণধরে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজ করতে থাকেন। এরই মধ্যে তিনি পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীর সরদারের ঘর থেকে শিশুর চিৎকার শুনতে পান। নানী মোরশেদা দ্রুত সেখানে গেলে জাহাঙ্গীরের ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। তিনি ধাক্কাদিয়ে দরজা খুলে দেখেতে পান শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কান্না করছে। মোরশেদা বেগমের চিৎকার চেচামেচিতে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে জাহাঙ্গীর সরদারকে আটক করে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন এবং ফেরদৌসী আক্তার রেহানা শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়া যান।
নারায়গঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন)মোহাম্মদ আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটির চিকিৎসা চলছে। এব্যাপারে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীর সরদার বলাৎকার করার অপরাধে এর আগেও জেল খেটেছে। সে দুষ্ট প্রকৃতির বলে এলাকাবাসী উল্লেখ করেছেন।