ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্যালয়ের ত্রুটিপূর্ণ ভবনের উপরেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলছে দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: নওগাঁর মহাদেবপুরের হামিদপুর জিগাতলা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ বছরের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ একতলা ভবনের ছাদের ওপরই চলছে দুই তলার নির্মাণ কাজ।
ভবন নির্মাণের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফাটলকৃত ভবনের ছাদে নতুন ভবন নির্মাণ করায় যে কোনো সময় সেটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ওই ভবন ধসে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, বিদ্যালয়টির ঝুঁকিপূর্ণ তিন রুম বিশিষ্ট একতলা ভবনের ছাদের ওপর দুই তলার নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ভবনটির নিচতলার আরসিসি পিলার ও বিমের বিভিন্ন স্থানে অনেক ফাঁটল রয়েছে। ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। এছাড়া ভবনের ভেতর ও বাইরের দেয়ালেও অনেক ফাঁটল রয়েছে। এর ফলে যে কোনো সময় ভবনটি ধসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ওপরতলায় নির্মাণ কাজ চলায় নিচতলার দেয়ালগুলোতে বর্তমানে আরো ব্যাপক আকারে ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
এসব ফাঁটল ঠেকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে সিমেন্ট-বালির মিশ্রণ (পুটিং)। তবে নিয়ম অনুযায়ী কার্যস্থলে নির্মাণ কাজের বিবরণ সম্বলিত সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও তা টানানো হয়নি।

সাইফুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, ভবনটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। এভাবে দোতলার নির্মাণ কাজ চলতে থাকলে যে কোনো সময়ে ভবনটি ধসে পড়তে পারে।
সাদ্দাম হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ওপর নতুন ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ যারা দিয়েছেন; তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
হামিদপুর জিগাতলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিকুঞ্জ বিহারী বলেন, ‘শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কাজটি করছেন।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাখন চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্রকৌশলীরা যদি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন তাহলে কাজ বন্ধের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি জানা নেই উল্লেখ করে নওগাঁর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান বলেন, ‘বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ওই ভবনের নির্মাণকাজ ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

বিদ্যালয়ের ত্রুটিপূর্ণ ভবনের উপরেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলছে দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ

আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ ডেস্ক: নওগাঁর মহাদেবপুরের হামিদপুর জিগাতলা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ বছরের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ একতলা ভবনের ছাদের ওপরই চলছে দুই তলার নির্মাণ কাজ।
ভবন নির্মাণের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফাটলকৃত ভবনের ছাদে নতুন ভবন নির্মাণ করায় যে কোনো সময় সেটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ওই ভবন ধসে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, বিদ্যালয়টির ঝুঁকিপূর্ণ তিন রুম বিশিষ্ট একতলা ভবনের ছাদের ওপর দুই তলার নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ভবনটির নিচতলার আরসিসি পিলার ও বিমের বিভিন্ন স্থানে অনেক ফাঁটল রয়েছে। ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। এছাড়া ভবনের ভেতর ও বাইরের দেয়ালেও অনেক ফাঁটল রয়েছে। এর ফলে যে কোনো সময় ভবনটি ধসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ওপরতলায় নির্মাণ কাজ চলায় নিচতলার দেয়ালগুলোতে বর্তমানে আরো ব্যাপক আকারে ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
এসব ফাঁটল ঠেকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে সিমেন্ট-বালির মিশ্রণ (পুটিং)। তবে নিয়ম অনুযায়ী কার্যস্থলে নির্মাণ কাজের বিবরণ সম্বলিত সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও তা টানানো হয়নি।

সাইফুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, ভবনটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। এভাবে দোতলার নির্মাণ কাজ চলতে থাকলে যে কোনো সময়ে ভবনটি ধসে পড়তে পারে।
সাদ্দাম হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ওপর নতুন ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ যারা দিয়েছেন; তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
হামিদপুর জিগাতলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিকুঞ্জ বিহারী বলেন, ‘শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কাজটি করছেন।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাখন চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্রকৌশলীরা যদি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন তাহলে কাজ বন্ধের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি জানা নেই উল্লেখ করে নওগাঁর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান বলেন, ‘বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে ওই ভবনের নির্মাণকাজ ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’