নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ফেসবুক শুধু বিনোদন আর চ্যাটিং এর জন্যই নয়, ফেসবুকের মাধ্যমেও যে সমাজের জন্য কাজ করা যায় তার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে বরিশালের ভালো- মন্দ ফেসবুক গ্রুপ। গ্রুপের শ্লোগানের মধ্যেই যার উদ্দেশ্য নিহীত। “ভালোকে ভালো বলি, মন্দকে ভালো করি।”
একঝাকঁ মানবতার সৈনিক, যাঁরা তাঁদের অদম্য প্রচেষ্টায় সমাজের নানামুখী উন্নয়ন কর্ম পরিচালনা করে আসছে গত দু’বছর ধরে। তাঁদের নিজেদের এবং গ্রুপের সদস্যদের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী-দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ, ঈদের সময় ঈদ খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে থাকে এই গ্রুপের নিবেদিত প্রাণ সদস্যরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের শীতের তীব্রতাকে প্রশমিত করার জন্য গ্রুপের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের শীত নিবারনের জন্য তিনধাপে দুইশতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
কম্বল বিতরণ প্রসঙ্গে গ্রুপের এডিমন নওরোজ কবির টুকু বলেন, সঠিক লোকের হাতে কম্বল পৌঁছে দেয়ার জন্য গভির রাতে এডমিন/পরিচালকদের সাথে নিয়ে মটর সাইকেলে কম্বল সাথে করে বিতরণে নেমে নথুল্লাবাদ থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে রিক্সা, অটোরিক্সা, ভ্যান চালক ও ফুটপাতে রাত্রিযাপন করে তাদের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও এমন অনেকে রয়েছেন, যেসব লোক লাইনে দাঁড়িয়ে নিতে পারেন না আবার শীতের কষ্টও সহ্য করতে পারেন না এমন নিম্ন মধ্যবিত্তদের মাঝে বাসায় বাসায় গিয়ে কম্বল বিতরন করেছি। এর ফলে প্রকৃত লোকের হাতে আমরা আমাদের কম্বল পৌঁছে দিতে পেরেছি এটাই আমাদের স্বার্থকতা। তিনি বলেন, গতবছর শীতেও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল।
শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া এটা চলমান রয়েছে। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই স্কুল নির্বাচন করে পরবর্তী শিক্ষা উপকরন বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করব।” তিনি আরও বলেন, “এর আগে একাধিক স্কুলে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছি।” তিনি সমাজের বিত্তবানদের কে উক্ত কার্যক্রমের জন্য সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য আহবান জানিয়েছেন। এতে করে সামাজিক কার্যক্রমগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চালিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। আর না হয় মাঝে মাঝে স্থবির হয়ে পড়ে।
গ্রুপের আরেক এডমিন ইঞ্জিনিয়ার জিহাদ রানা বলেন, ভালো কাজ গুলোকে ত্বরান্বিত করার জন্য সামাজিক ব্যক্তিদের উৎসাহ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই সমাজসেবী সহ সকলের ভাল কাজে এগিয়ে আসা উচিৎ।