ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই চলবে হৃদরোগের চিকিৎসা। প্রাথমিকভাবে আর কোনো রোগীকে ঢাকা কিংবা বিদেশে যেতে হবে না। সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে হৃদরোগীদের চলবে চিকিৎসা। শুধু ব্রাক্ষণবাড়িয়াই নয়, আশপাশের জেলার রোগীরাও এ উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশার আলো জাগাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রায় ৯ বছর নীরবে-নিবৃত্তে হাঁটি হাঁটি পা-পা করে সর্বশেষ কাঙ্খিত সাফল্যের কাছে পৌঁছেছে। নতুন বছরের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য খুশির বার্তা দিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশনের সদস্যদের অর্থায়নে আধুনিক চিকিৎসা সেবার এ ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় ও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আল মামুন সরকার এতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। নিজস্ব জায়গার উপর ২৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে শহরের পশ্চিম মেড্ডায় পুলিশ লাইন সংলগ্ন স্থানে ৪ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে। পর্যায় ক্রমে এটি ৮ তলায় উন্নীত হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীতে ২শ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হবে। সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের প্রাথমিক সকল হৃদরোগের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে সর্বাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। ২টি ক্যাথল্যাব, ৮টি ইমার্জেন্সি বেড, ১০টি আইসিইউ বেড, ১০টি সিসিইউ বেড, ৫টি পিসিইউ বেড। ১৭টি সাধারণ বেড। প্রথম দিকে ২টি শিফটে কাজ চলবে। এ জন্য একজন সার্বক্ষণিক হৃদরোগ কনসালটেন্ট, দুই জন মেডিকেল কর্মকর্তা, একজন সিনিয়র মেডিকেল অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোগী দেখার সময় সকাল ৮ থেকে দুপুর আড়াইটা এবং বিকালে সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে জনবল নিয়োগের কাজ ও সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে ২০০ কেভি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। ইসিজি, ইকো এবং ইইজি, ভেন্টিলেটর মেশিন ২টি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ২টি, ইটিটি ১টি, সিয়াম এনজিওগ্রাম ১টি, ৩০০ এম এ এক্সরে মেশিন ১টি, ৫০০ এক্সরে এমএ মেশিন ১টি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটি ২শ শয্যায় উন্নীত হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি ডা. মো. বজলুর রহমান জানিয়েছেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিন্টু ভৌমিক জানিয়েছেন, হৃদরোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি করেই একদল উদ্যোমী লোকের উদ্যোগে এর সফল বাস্তবায়ন চলছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল

আপডেট সময় : ১১:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই চলবে হৃদরোগের চিকিৎসা। প্রাথমিকভাবে আর কোনো রোগীকে ঢাকা কিংবা বিদেশে যেতে হবে না। সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে হৃদরোগীদের চলবে চিকিৎসা। শুধু ব্রাক্ষণবাড়িয়াই নয়, আশপাশের জেলার রোগীরাও এ উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশার আলো জাগাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রায় ৯ বছর নীরবে-নিবৃত্তে হাঁটি হাঁটি পা-পা করে সর্বশেষ কাঙ্খিত সাফল্যের কাছে পৌঁছেছে। নতুন বছরের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জন্য খুশির বার্তা দিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশনের সদস্যদের অর্থায়নে আধুনিক চিকিৎসা সেবার এ ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হার্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় ও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আল মামুন সরকার এতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। নিজস্ব জায়গার উপর ২৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে শহরের পশ্চিম মেড্ডায় পুলিশ লাইন সংলগ্ন স্থানে ৪ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে। পর্যায় ক্রমে এটি ৮ তলায় উন্নীত হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীতে ২শ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হবে। সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের প্রাথমিক সকল হৃদরোগের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে সর্বাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। ২টি ক্যাথল্যাব, ৮টি ইমার্জেন্সি বেড, ১০টি আইসিইউ বেড, ১০টি সিসিইউ বেড, ৫টি পিসিইউ বেড। ১৭টি সাধারণ বেড। প্রথম দিকে ২টি শিফটে কাজ চলবে। এ জন্য একজন সার্বক্ষণিক হৃদরোগ কনসালটেন্ট, দুই জন মেডিকেল কর্মকর্তা, একজন সিনিয়র মেডিকেল অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোগী দেখার সময় সকাল ৮ থেকে দুপুর আড়াইটা এবং বিকালে সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে জনবল নিয়োগের কাজ ও সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে ২০০ কেভি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। ইসিজি, ইকো এবং ইইজি, ভেন্টিলেটর মেশিন ২টি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ২টি, ইটিটি ১টি, সিয়াম এনজিওগ্রাম ১টি, ৩০০ এম এ এক্সরে মেশিন ১টি, ৫০০ এক্সরে এমএ মেশিন ১টি স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালটি ২শ শয্যায় উন্নীত হবে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি ডা. মো. বজলুর রহমান জানিয়েছেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিন্টু ভৌমিক জানিয়েছেন, হৃদরোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি করেই একদল উদ্যোমী লোকের উদ্যোগে এর সফল বাস্তবায়ন চলছে।