ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২২ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৮০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: আগামী বুধবার (২২ জানুয়ারি) চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ই-পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ই-পাসপোর্ট ভবন ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন সংক্রান্ত’ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সর্বত্র বিতরণ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার কথা ছিল গত জুলাই মাসে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই বর্তমানে প্রচলিত মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) বই সংকট দেখা দেয়। ফলে সারা দেশে জরুরি পাসপোর্ট পেতেও বিলম্ব হয়। পরে সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে পাসপোর্ট বই সংগ্রহ করেছে।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এ পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে অনেক আগেই। তাদের কারিগরি সহযোগিতায় ই-পাসপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে।
পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদ হবে ই-পাসপোর্টের। পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যাও হবে দুই ধরনের, ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠা। নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বিতরণের পদ্ধতি তিন ধরনের—সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি। দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য সঠিক থাকলে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে। জরুরিভাবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য ঠিক থাকলে সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হবে। অতি জরুরি পাসপোর্ট ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করে আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুই দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।

ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিরোজপুরে বাস অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নেন জামাতে ইসলামির নেতৃবৃন্দ।

২২ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট

আপডেট সময় : ০২:০৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ ডেস্ক: আগামী বুধবার (২২ জানুয়ারি) চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ই-পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ই-পাসপোর্ট ভবন ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন সংক্রান্ত’ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সর্বত্র বিতরণ করা হবে ই-পাসপোর্ট।
সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার কথা ছিল গত জুলাই মাসে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই বর্তমানে প্রচলিত মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) বই সংকট দেখা দেয়। ফলে সারা দেশে জরুরি পাসপোর্ট পেতেও বিলম্ব হয়। পরে সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে পাসপোর্ট বই সংগ্রহ করেছে।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। এ পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে অনেক আগেই। তাদের কারিগরি সহযোগিতায় ই-পাসপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে।
পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদ হবে ই-পাসপোর্টের। পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যাও হবে দুই ধরনের, ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠা। নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বিতরণের পদ্ধতি তিন ধরনের—সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি। দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য সঠিক থাকলে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে। জরুরিভাবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য ঠিক থাকলে সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হবে। অতি জরুরি পাসপোর্ট ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করে আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুই দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।

ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।