ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যথাযথভাবে অনুসরণ করুন: প্রধানমন্ত্রী

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি যাতে তৃণমূল এবং গ্রামের জনগণ আমাদের সাফল্যের সুফল পেতে পারে।’
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় তার বাসভবনে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা কাউন্সিলের যৌথ বৈঠকে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্য দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা।
‘দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে চলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব,‘ বলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আমরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখব”।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তার দল টানা তিনবার ক্ষমতায়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্তও ক্ষমতায় ছিল। ‘ফলে, দেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তিত হচ্ছে,। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ‘মুজিব বর্ষ’ জাতীয়ভাবে উদযাপনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ‘এছাড়াও অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করবে,।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে তার নাম একেবারে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ‘তবে এখন কেউ আর তার নাম কখনও মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ তিনি দেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য সারাটি জীবন সংগ্রাম করে গেছেন এবং কষ্ট সহ্য করেছেন।’ তিনি বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এবং জাতির পিতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে স্বাধীন করেছিলেন তখন ৮২ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করত। ‘কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার দেশের দারিদ্র্যহার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে,।
তিনি বলেন, জাতির পিতা শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন এবং তিনি এ লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছিলেন।
‘তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশ সেই আদর্শ ও চেতনা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল,’ বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্যদিয়ে দেশ আবারও উন্নয়নের দিকে যাত্রা শুরু করে। ‘জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে,’ বলেন তিনি।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যথাযথভাবে অনুসরণ করুন: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি যাতে তৃণমূল এবং গ্রামের জনগণ আমাদের সাফল্যের সুফল পেতে পারে।’
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় তার বাসভবনে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা কাউন্সিলের যৌথ বৈঠকে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্য দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা।
‘দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে চলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব,‘ বলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আমরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখব”।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর তার দল টানা তিনবার ক্ষমতায়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্তও ক্ষমতায় ছিল। ‘ফলে, দেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তিত হচ্ছে,। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ‘মুজিব বর্ষ’ জাতীয়ভাবে উদযাপনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ‘এছাড়াও অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করবে,।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে তার নাম একেবারে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ‘তবে এখন কেউ আর তার নাম কখনও মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ তিনি দেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য সারাটি জীবন সংগ্রাম করে গেছেন এবং কষ্ট সহ্য করেছেন।’ তিনি বলেন, ২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে এবং জাতির পিতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে স্বাধীন করেছিলেন তখন ৮২ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করত। ‘কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার দেশের দারিদ্র্যহার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে,।
তিনি বলেন, জাতির পিতা শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন এবং তিনি এ লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছিলেন।
‘তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশ সেই আদর্শ ও চেতনা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল,’ বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্যদিয়ে দেশ আবারও উন্নয়নের দিকে যাত্রা শুরু করে। ‘জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে,’ বলেন তিনি।