ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাইকে হত্যা করে ভাই কারাগারে

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৮১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে স্টলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ভাইয়ের হামলায় ভাই নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন ভাইসহ চারজনকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে নিহত ফরিদের ভাই শাহআলম খান ও মফিজুল ইসলাম নান্না খানকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মো. আনিছুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী রোজী বেগম বাদী হয়ে ওই দুই জনসহ অপর ভাই মজিবর রহমান খান ও ভাড়াটিয়া সোয়েব সিকদার আজাদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নিহত ও মামলার আসামি তিন ভাই নগরীর শীতলাখোলা এলাকার মৃত ঠিকাদার মজিদ খানের ছেলে।
১০ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ফরিদ ৭ম। মামলার অভিযোগে পারিবারিকভাবে পাওয়া একটি স্টলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ৩ ভাই ও ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ইট দিয়ে মাথা থেতলে ফরিদকে হত্যার অভিযোগ করা হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ফরিদ মারা যাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল থেকেই শাহ আলম ও নান্নাকে আটক করা হয়। দায়েরকৃত মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে হলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ওসি আরো জানান, আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পারিবারিকভাবে ফরিদকে বাড়ির সামনের একটি স্টল দেয়া হয়। ওই স্টলের ভাড়া আদায় করছিলো ফরিদ। সম্প্রতি তার অপর ভাই শাহআলম ওই স্টলের ভাড়া আদায় করার উদ্যোগ নেয় এবং ভাড়াটিয়া আজাদকে নিহত ফরিদের কাছে ভাড়া দিতে নিষেধ করে। গত শনিবার সকালে ওই স্টলের ভাড়া আনতে যায় ফরিদ। এ নিয়ে ভাড়াটিয়া আজাদের সাথে ফরিদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এর এক পর্যায়ে মামলার আসামি তিন ভাই এবং ভাড়াটিয়া আজাদের ইটের আঘাত এবং কিল-ঘুষিতে ফরিদ সড়কে লুটিয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

ভাইকে হত্যা করে ভাই কারাগারে

আপডেট সময় : ১১:৪৪:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ ডেস্ক: বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে স্টলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ভাইয়ের হামলায় ভাই নিহত হওয়ার ঘটনায় তিন ভাইসহ চারজনকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে নিহত ফরিদের ভাই শাহআলম খান ও মফিজুল ইসলাম নান্না খানকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মো. আনিছুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী রোজী বেগম বাদী হয়ে ওই দুই জনসহ অপর ভাই মজিবর রহমান খান ও ভাড়াটিয়া সোয়েব সিকদার আজাদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নিহত ও মামলার আসামি তিন ভাই নগরীর শীতলাখোলা এলাকার মৃত ঠিকাদার মজিদ খানের ছেলে।
১০ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ফরিদ ৭ম। মামলার অভিযোগে পারিবারিকভাবে পাওয়া একটি স্টলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ৩ ভাই ও ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ইট দিয়ে মাথা থেতলে ফরিদকে হত্যার অভিযোগ করা হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ফরিদ মারা যাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থল থেকেই শাহ আলম ও নান্নাকে আটক করা হয়। দায়েরকৃত মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে হলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ওসি আরো জানান, আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পারিবারিকভাবে ফরিদকে বাড়ির সামনের একটি স্টল দেয়া হয়। ওই স্টলের ভাড়া আদায় করছিলো ফরিদ। সম্প্রতি তার অপর ভাই শাহআলম ওই স্টলের ভাড়া আদায় করার উদ্যোগ নেয় এবং ভাড়াটিয়া আজাদকে নিহত ফরিদের কাছে ভাড়া দিতে নিষেধ করে। গত শনিবার সকালে ওই স্টলের ভাড়া আনতে যায় ফরিদ। এ নিয়ে ভাড়াটিয়া আজাদের সাথে ফরিদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এর এক পর্যায়ে মামলার আসামি তিন ভাই এবং ভাড়াটিয়া আজাদের ইটের আঘাত এবং কিল-ঘুষিতে ফরিদ সড়কে লুটিয়ে পড়েন। প্রতিবেশীরা তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।