ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় পেঁয়াজ আসার খবরে দাম কমল কেজিতে ৩০ টাকা

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ভারত গত পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি না করায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে, দাম চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ইউএনবি ফাইল ছবি
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে দেশের বাজারে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দিনাজপুরের হিলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে কমেছে ৩০ টাকার মতো।
বৃহস্পতিবার যে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৮০-১১০ টাকা তা শুক্রবার বিক্রি হয় ৬০-৭০ টাকায়।
হিলি বাজারের আড়তদার দেলোয়ার হোসেন ও মঈনুলসহ কয়েকজন জানান, ভারত গত পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি না করায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে, দাম চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে গত মাস থেকে প্রকার ভেদে ৭০-১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বেচা-কেনা হচ্ছে। আর বুধবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় দাম আরও পড়তে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার দেশীয় বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার সকাল থেকে তা কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে বেশি কমেছে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। প্রকার ভেদে এ পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
হিলি বাজারে আসা ভোক্তা নজির উদ্দিন বলেন, ‘তিন দিন আগে দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে এসে দেখি একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বাজার ঘুরে জানলাম এখন নাকি ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে, তাই দাম কম।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বলা হয় যে বিভিন্ন রাজ্যে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কিন্তু ন্যায্যদাম না পেয়ে ইতোমধ্যে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষকদের স্বার্থে এবং পেঁয়াজের দরপতন ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ‘ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো চিঠি পাইনি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুত সময়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে গেল বছরের গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে বাড়তে থাকে ভারতীয়সহ দেশীয় পেঁয়াজের দাম।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

ভারতীয় পেঁয়াজ আসার খবরে দাম কমল কেজিতে ৩০ টাকা

আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ ডেস্ক: ভারত গত পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি না করায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে, দাম চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ইউএনবি ফাইল ছবি
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে দেশের বাজারে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দিনাজপুরের হিলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে কমেছে ৩০ টাকার মতো।
বৃহস্পতিবার যে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৮০-১১০ টাকা তা শুক্রবার বিক্রি হয় ৬০-৭০ টাকায়।
হিলি বাজারের আড়তদার দেলোয়ার হোসেন ও মঈনুলসহ কয়েকজন জানান, ভারত গত পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি না করায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে, দাম চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে গত মাস থেকে প্রকার ভেদে ৭০-১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বেচা-কেনা হচ্ছে। আর বুধবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় দাম আরও পড়তে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার দেশীয় বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার সকাল থেকে তা কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে বেশি কমেছে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। প্রকার ভেদে এ পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
হিলি বাজারে আসা ভোক্তা নজির উদ্দিন বলেন, ‘তিন দিন আগে দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে এসে দেখি একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বাজার ঘুরে জানলাম এখন নাকি ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে, তাই দাম কম।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বলা হয় যে বিভিন্ন রাজ্যে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কিন্তু ন্যায্যদাম না পেয়ে ইতোমধ্যে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষকদের স্বার্থে এবং পেঁয়াজের দরপতন ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ‘ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো চিঠি পাইনি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুত সময়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে গেল বছরের গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে বাড়তে থাকে ভারতীয়সহ দেশীয় পেঁয়াজের দাম।