নিউজ ডেস্ক ॥ বরিশাল নগরীতে লাইফ লাইন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক প্রদীপ কুমার পালসহ তিন মাদকসেবীকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর স্বরোডের ডেন্টিস্ট ফরিদের চেম্বার থেকে ফরিদসহ মাদক সেবনরত অবস্থায় তাদের আটক করা হয়।
অভিযানের সময় মাদক সেবনরত অবস্থায় লাইফ লাইন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক প্রদীপ কুমার পাল ও তার সহযোগী শ্যামল এবং স্বরোড এলাকার ডেন্টিস্ট ফরিদকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলে ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর স্বরোডের ডেন্টিস্ট ফরিদের চেম্বার থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরে তিন মাদকসেবীর বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে তাদের আটকের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পূর্বে প্রদীপ তার লাইফ লাইন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে বিভিন্ন লোকজন নিয়ে মাদক সেবন করতেন। সেখানে কোতয়ালী পুলিশ হানা দিলে সে যাত্রা পালিয়ে বাঁচেন প্রদীপ ও তার সঙ্গীরা। এর পরেই মূলত প্রদীপ অন্যত্র গিয়ে মাদক সেবন শুরু করেন।
সূত্র বলছে, লাইফ লাইন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক প্রদীপ কুমার পাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসার আড়ালে মাদকের আখড়া গড়ে তুলেছেন। এবং তার সহযোগী শ্যামল বরিশালের বিভিন্ন স্থানে মাদকের সাপ্লাই দিয়ে আসছিলেন। এমনকি তাদের এই মাদকের খপ্পরে পড়ে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিবিশেষ বলছেন, প্রদীপ কুমার পাল ও তার সহযোগী শ্যামলের পাল্লায় পড়ে অনেক যুবকই সর্বস্ব হারিয়েছেন। তারা নানা কৌশলে মাদক সেবনের দিকে টেনে নিচ্ছেন অনেক যুবককে। তাদের হাত যে কত লম্বা তা ধারণা করা যায় না।
এদিকে ভুক্তভোগীরা উল্লিখিতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন