ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাস: সর্তকতায় রয়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০
  • ২৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারন করছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ২৪জনের বেশি মানুষ আর মারা গেছে দুই রোগী। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশে কাজ করছে প্রশাসন।

সারাদেশের মতো করোনা ভাইরাস সর্তকতায় রয়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার, তবে করোনা ভাইরাস সনাক্তের কোন মেশিন না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এখানের বন্দি কয়েদীরা।

সূত্র জানায়, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে মোট ১৩৯৭ জন কারাবন্দি রয়েছে। এসব কারাবন্দিদের জন্য বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ডিপ্লোমা নার্স, ফার্মাসিষ্ট দিয়ে দেখভাল করছেন, এতে কোন কারাবন্দির শরীরে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের খবর পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ।

তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছেন, বাহির থেকে নতুন কোন কারাবন্দি ভেতরে প্রবেশ করলে তাকে পরীক্ষা করা এবং ভিতরের কারাবন্দিদের পরীক্ষা করার কোন মেশিন না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে কারাগারের বন্দি এবং স্টাফরা।

সুশীল সমাজ বলছেন, করোনা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো লোক সমাগম স্থল এড়িয়ে চলা। সাধারণ কারাগারে একই জায়গায় অনেক বন্দি থাকেন। দেশে প্রায় সব কারাগারেই ধারণ ক্ষমতার বেশি বন্দি রয়েছেন। তাই বন্দিদের মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায়, সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি।

এব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলর নূর মোহাম্মাদ মৃধা জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিমধ্যে আমরা নানাভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। কারা অভ্যন্তরে একটি ভবনের দুটি ফ্লোর রেডি রাখা হয়েছে, প্রয়োজন হলে আসামীদের সরিয়ে পুরো একটি ভবন রেডি করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। এছাড়া আমাদের স্টাফদের জন্যও দুটি ভবন প্রস্তুত করা হচ্ছে, সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জনকে আইসোলেশন দেয়া যাবে। তিনি আরও জানান, আমরা উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্ক্যানার মেশিনটি চেয়েছি আশা করছি দ্রুত আমরা এটি পেয়ে যাবো। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের ৬৮টি কারাগার ঘিরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

প্রায় ৯০ হাজার কারাবন্দি কারও শরীরে করোনার কোনো বাহ্যিক লক্ষণ রয়েছে কিনা তা সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে কারা চিকিৎসকসহ সংশ্নিষ্ট সবাইকে। নতুন সব কারাবন্দিকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ ও ১৪ দিন পর্যবেক্ষণের পর তাদের অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে একাধিক চিঠি দেশের সব কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

করোনা ভাইরাস: সর্তকতায় রয়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার

আপডেট সময় : ০৭:০৩:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারন করছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছে ২৪জনের বেশি মানুষ আর মারা গেছে দুই রোগী। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশে কাজ করছে প্রশাসন।

সারাদেশের মতো করোনা ভাইরাস সর্তকতায় রয়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার, তবে করোনা ভাইরাস সনাক্তের কোন মেশিন না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এখানের বন্দি কয়েদীরা।

সূত্র জানায়, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে মোট ১৩৯৭ জন কারাবন্দি রয়েছে। এসব কারাবন্দিদের জন্য বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ডিপ্লোমা নার্স, ফার্মাসিষ্ট দিয়ে দেখভাল করছেন, এতে কোন কারাবন্দির শরীরে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের খবর পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ।

তবে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছেন, বাহির থেকে নতুন কোন কারাবন্দি ভেতরে প্রবেশ করলে তাকে পরীক্ষা করা এবং ভিতরের কারাবন্দিদের পরীক্ষা করার কোন মেশিন না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে কারাগারের বন্দি এবং স্টাফরা।

সুশীল সমাজ বলছেন, করোনা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো লোক সমাগম স্থল এড়িয়ে চলা। সাধারণ কারাগারে একই জায়গায় অনেক বন্দি থাকেন। দেশে প্রায় সব কারাগারেই ধারণ ক্ষমতার বেশি বন্দি রয়েছেন। তাই বন্দিদের মাধ্যমে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায়, সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি।

এব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলর নূর মোহাম্মাদ মৃধা জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইতিমধ্যে আমরা নানাভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। কারা অভ্যন্তরে একটি ভবনের দুটি ফ্লোর রেডি রাখা হয়েছে, প্রয়োজন হলে আসামীদের সরিয়ে পুরো একটি ভবন রেডি করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। এছাড়া আমাদের স্টাফদের জন্যও দুটি ভবন প্রস্তুত করা হচ্ছে, সেখানে ৬০ থেকে ৭০ জনকে আইসোলেশন দেয়া যাবে। তিনি আরও জানান, আমরা উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্ক্যানার মেশিনটি চেয়েছি আশা করছি দ্রুত আমরা এটি পেয়ে যাবো। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের ৬৮টি কারাগার ঘিরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

প্রায় ৯০ হাজার কারাবন্দি কারও শরীরে করোনার কোনো বাহ্যিক লক্ষণ রয়েছে কিনা তা সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে কারা চিকিৎসকসহ সংশ্নিষ্ট সবাইকে। নতুন সব কারাবন্দিকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ ও ১৪ দিন পর্যবেক্ষণের পর তাদের অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে একাধিক চিঠি দেশের সব কারাগারে পাঠানো হয়েছে।