ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএনও’র ঘাড়ে লাশের খাটিয়া, জানাজার ঈমামও তিনি!  

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০
  • ৬৯৪ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল ইসলাম :: একজন বিসিএস কর্মকর্তা মানেই একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা। তারঁ কাছে সাধারন মানুষের যোগাযোগ অনেকটাই কঠিন কাজ! তিনি থাকেন নিদৃষ্ট বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ। তিনি করবেন তাঁর রুটিন ওয়ার্ক এটাতেই আমরা অভ্যস্ত।

কিন্তু ব্যতিক্রমও  যে আছে!  হ্যাঁ মানুষ এখনও আছে। হারিয়ে যায়নি মনুষত্ব। এমনই এক মানবিক মনুষত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ইউএনও মোঃ বদরুদ্দোজা শুভ।

তিনি এর আগে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ইউএনও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন যেমন উদার তেমন মানব দরদী। তিনি ছিলেন একজন চৌকষ প্রশাসক। গতকাল ঝিনাইদাহ সদরে একজন ব্যক্তি জ্বর সর্দি নিয়ে মারা গেলে করোনা ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। সদর উপজেলা ইউএন শুভ নিজেই প্রোটোকল মেনে সেই লাশের গোসল করিয়ে, খাটিয়া কাঁধে করে দাফন করিয়েছেন। যা একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তার কোন রকম দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।
এটা তার মানবিকতার পরিচয়।

একজন মানুষ কতটা মানবিক হলে এমন এক দূর্যোগকালীন সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ কাজ করতে পারে?যেখানে নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জন সহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত তিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হয়েছে। সেখানে নিজের জীবনকে থোরাই কেয়ার করে এ কাজ করে সকল মানুষের জন্য তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

এই ঝুঁকি নিতে যেখানে নিজের আপন লোকজন সাহস করেনি। লাশ রেখে পালিয়ে যায় সেখানে একজন ইউএনও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই লাশ গোসল করালেন, জানাযা পড়ালেন, সাথে সাথে নিজের কাঁধে নিয়ে কবর দেয়া পর্যন্ত সম্পন্ন করলেন। যা বাংলার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল। যুগ যুগ ধরে তাঁর এ কৃতি মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

ইউএনও’র ঘাড়ে লাশের খাটিয়া, জানাজার ঈমামও তিনি!  

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ এপ্রিল ২০২০

সাইফুল ইসলাম :: একজন বিসিএস কর্মকর্তা মানেই একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা। তারঁ কাছে সাধারন মানুষের যোগাযোগ অনেকটাই কঠিন কাজ! তিনি থাকেন নিদৃষ্ট বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ। তিনি করবেন তাঁর রুটিন ওয়ার্ক এটাতেই আমরা অভ্যস্ত।

কিন্তু ব্যতিক্রমও  যে আছে!  হ্যাঁ মানুষ এখনও আছে। হারিয়ে যায়নি মনুষত্ব। এমনই এক মানবিক মনুষত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তিনি হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ইউএনও মোঃ বদরুদ্দোজা শুভ।

তিনি এর আগে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ইউএনও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন যেমন উদার তেমন মানব দরদী। তিনি ছিলেন একজন চৌকষ প্রশাসক। গতকাল ঝিনাইদাহ সদরে একজন ব্যক্তি জ্বর সর্দি নিয়ে মারা গেলে করোনা ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। সদর উপজেলা ইউএন শুভ নিজেই প্রোটোকল মেনে সেই লাশের গোসল করিয়ে, খাটিয়া কাঁধে করে দাফন করিয়েছেন। যা একজন প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তার কোন রকম দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়েনা।
এটা তার মানবিকতার পরিচয়।

একজন মানুষ কতটা মানবিক হলে এমন এক দূর্যোগকালীন সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ কাজ করতে পারে?যেখানে নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জন সহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত তিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হয়েছে। সেখানে নিজের জীবনকে থোরাই কেয়ার করে এ কাজ করে সকল মানুষের জন্য তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

এই ঝুঁকি নিতে যেখানে নিজের আপন লোকজন সাহস করেনি। লাশ রেখে পালিয়ে যায় সেখানে একজন ইউএনও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই লাশ গোসল করালেন, জানাযা পড়ালেন, সাথে সাথে নিজের কাঁধে নিয়ে কবর দেয়া পর্যন্ত সম্পন্ন করলেন। যা বাংলার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল। যুগ যুগ ধরে তাঁর এ কৃতি মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।