ডেস্ক রিপোর্ট: বিদায় সব সময়ই বেদনার। তবে নতুন বছরের আগমনী বার্তা আর পুরোনো বছরের বিদায় বেলায় থাকে উৎসবের রঙ। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চারপাশে শুধুই কষ্টের প্রতিচ্ছবি। এরই মাঝে আজ সোমবার চৈত্র অবসানের দিন। ১৪২৬ বঙ্গাব্দের শেষ দিন।
বাংলা ক্যালেন্ডারে মুদ্রিত বর্ষপরিক্রমায় আজ চৈত্রের শেষ দিন। দিনের সূর্য অস্তমিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বর্ষপঞ্জি থেকে বিদায় নেবে ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। বর্ষবিদায় নেয়ার এ দিনটিকেই বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। পরদিন মঙ্গলবার পহেলা বৈশাখ-নববর্ষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। চৈত্র সংক্রান্তিতে জীর্ণ পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে পহেলা বৈশাখে নববর্ষ ।
আবহমান কাল থেকেই বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের এ দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসবের অন্যতম দিনও বটে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ বাঙালি জাতির কাছে কালের পরিক্রমায় চৈত্র সংক্রান্তি এক বৃহত্তর লোকজ উৎসবে পরিণত হয়েছে। পুরাতন জীর্ণতাকে বিদায়ের আয়োজন থাকে চৈত্র সংক্রান্তিতে। পরদিন সকালে পূব আকাশে উদিত সূর্যের কিরণ নতুন স্বপ্ন-আশায় ।
বাংলা উইকিপিডিয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, চৈত্র থেকে বর্ষা মানে আষাঢ়ের প্রারম্ভ পর্যন্ত সূর্যের উত্তাপ যখন তীব্রতর থাকে থাকে তখন সূর্যের তেজ প্রশমন ও বৃষ্টির আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তি উদ্ভাবন করেছিল।
একসময় ইহা গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকলেও কালের প্রবাহে তা নাগরিক জীবনেও স্থান করে নেয়। এ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নানা ধরনের মেলা ও উৎসবের আয়োজন হয়। সাংস্কৃতিক নানা আয়োজনের মধ্যে প্রধানত মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, সঙ্গীত, আবৃত্তি, সঙযাত্রা ও নৃত্যানুষ্ঠান থাকে।
বরিশালে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে জেলা প্রশাসন ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, পৃথক মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানান কর্মসূচি করা হয়। এছাড়া বর্ষবরণ উপলক্ষে শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারসহ নানান সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এবার এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না।