ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল চুরির অপবাদে ৩ কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন,আটক ২

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০
  • ৬৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক//বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মুঠোফোন চুরির অপবাদে কোমরে রশি বেঁধে তিন কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ফেসবুকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এরপর অভিযান চালিয়ে বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুই জনকে আটক করে পুলিশ।

রোববার দুপুরে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ভরপাশা এলাকায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার কিশোরেরা হলো, ভরপাশা এলাকার মৃত হুমায়ুন হাওলাদরের ছেলে শুভ হাওলাদার (১৩), আয়নাল মীরের ছেলে তারেক মীর (১৫) ও তৈয়ব আলী সিকদারের ছেলে হাসান সিকদার (১৪) ।


এ ঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন, বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মো. মিজান। তাদের বাড়িও ভরপাশা এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, ভরপাশা এলাকার ইমরান সরদার নামে এক যুবকের একটি মুঠোফোন চুরির অপবাদে গত রোববার শুভ, তারেক ও হাসানকে বাড়ি থেকে ডেকে একটি মাঠে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের কোমরে রশি বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করেন ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মো. মিজানসহ আরও কয়েকজন। এতে ওই তিন কিশোর গুরুতর আহত হয়। লাঠির আঘাতে তারেকের হাত ভেঙে যায়। তবে ইদ্রিস সরদারের হুমকির কারণে তাদেরকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, এ ঘটনার পর চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার নামে তারেক ও হাসানের পরিবারের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকাও আদায় করেন আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস সরদার। তবে নির্যাতনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারেননি তিনি। নির্যাতনের ওই দৃশ্য গোপনে মুঠোফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন স্থানীয় এক যুবক। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামের নজরে আসে। তিনি বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে বেলা ১১টার দিকে ভরপাশা এলাকা থেকে আটক করা হয় ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মো. মিজানকে।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইদ্রিস সরদারসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

তথ্য ও ছবিঃ জাগো নিউজ

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

© All rights reserved © ধানসিঁড়ি নিউজ
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Diganta IT Ltd.

মোবাইল চুরির অপবাদে ৩ কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন,আটক ২

আপডেট সময় : ০৮:১৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল ২০২০

নিউজ ডেস্ক//বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মুঠোফোন চুরির অপবাদে কোমরে রশি বেঁধে তিন কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ফেসবুকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এরপর অভিযান চালিয়ে বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুই জনকে আটক করে পুলিশ।

রোববার দুপুরে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ভরপাশা এলাকায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার কিশোরেরা হলো, ভরপাশা এলাকার মৃত হুমায়ুন হাওলাদরের ছেলে শুভ হাওলাদার (১৩), আয়নাল মীরের ছেলে তারেক মীর (১৫) ও তৈয়ব আলী সিকদারের ছেলে হাসান সিকদার (১৪) ।


এ ঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন, বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মো. মিজান। তাদের বাড়িও ভরপাশা এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, ভরপাশা এলাকার ইমরান সরদার নামে এক যুবকের একটি মুঠোফোন চুরির অপবাদে গত রোববার শুভ, তারেক ও হাসানকে বাড়ি থেকে ডেকে একটি মাঠে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের কোমরে রশি বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করেন ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মো. মিজানসহ আরও কয়েকজন। এতে ওই তিন কিশোর গুরুতর আহত হয়। লাঠির আঘাতে তারেকের হাত ভেঙে যায়। তবে ইদ্রিস সরদারের হুমকির কারণে তাদেরকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, এ ঘটনার পর চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার নামে তারেক ও হাসানের পরিবারের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকাও আদায় করেন আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস সরদার। তবে নির্যাতনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারেননি তিনি। নির্যাতনের ওই দৃশ্য গোপনে মুঠোফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন স্থানীয় এক যুবক। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামের নজরে আসে। তিনি বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে বেলা ১১টার দিকে ভরপাশা এলাকা থেকে আটক করা হয় ইদ্রিস সরদার ও তার সহযোগী মো. মিজানকে।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইদ্রিস সরদারসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

তথ্য ও ছবিঃ জাগো নিউজ