শাহীন হাসান//বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়েই মাদক বিক্রীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। লকডাউন অমান্য করে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও খোদ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ে খুচরা মূল্যে মদ বিক্রির চিত্র দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ছবি তুলতে গেলে বাংলাভিশনের ক্যামেরাপার্সনকে মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখে প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় স্টাফরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমান আদালত বিপুল পরিমান মদ জব্দ করলেও কারো বিরুদ্ধে কোন আইনি প্রক্রিয়া নেয়নি।
বরিশালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রায়ই লাইসেন্স বিহীন ব্যক্তিদের কাছে খুচরা মূল্যে লিটার প্রতি ৫শ টাকা দরে দেশীয় মদ বিক্রি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যার সরকারি মূল্য ৮৮ টাকা।
শনিবার সচিত্র প্রতিবেদন করতে গেলে বাংলাভিশনের ক্যামেরা পার্সনকে বেদম মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানের হাসিব, রোকন, রাজিব। পরে সিনিয়র সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে।
অভিযান চালিয়ে কার্যালয়ের বিভিন্ন রুমে পালিয়ে থাকা ক্রেতাদের বের করেন ভ্রাম্যমান আদালত টিম। ১৮০লিটার মদ জব্দ করে তারা। প্রতিষ্ঠানটির স্টাফদের সহযোগীতায়ই যে ক্রেতারা বিভিন্ন রুমে পালিয়ে ছিলো সেটিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সরাসরি শাস্তির আওতায় আনার ক্ষমতা নেই জানিয়ে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা।
প্রতিষ্ঠানটির বিভাগীয় প্রধান কার্যালয়ের ৪র্থ তলায় বসবাস করলেও অবৈধভাবে মদ বিক্রি হয় কিনা তা জানেন না বলে দাবী করেন। তবে সাংবাদিক নির্যাতনে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন তিনি।
কতিপয় স্টাফদের সহায়তায় এখান থেকে অবৈধভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। লাভের টাকা ভাগবাটোয়ারা হয় ছোট থেকে বড় কর্তা পর্যন্ত বলে গুঞ্জন রয়েছে।