ধানসিঁড়ি নিউজ: দেশের করোনা সংকটকালীন সময়ে পুলিশের ভূমিকা অগ্রগণ্য। প্রসুতি মাতাকে হাসপাতালে নেয়া থেকে সন্তান প্রসবের সার্বিক দায়িত্বে, নিরাপত্তা রক্ষায়, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিৎ করতে, সামাজিক বিড়ম্বনা দূর করতে, ত্রাণ বিতরণে, অভূক্ত পরিবারকে খাদ্য পৌঁছে দিতে কোথায় পুলিশ নেই? দিনভর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে। নেই যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা, নেই পর্যাপ্ত খাদ্যের নিশ্চয়তা। তবুও থেমে নেই তাঁরা। অকুত ভয় সৈনিকেরা অদম্য স্পৃহায় কাজ করে যাচ্ছে “পুলিশ জনগণের বন্ধু, মানবতার বন্ধু” এ উক্তিটি এই সংকটে তা বার বার প্রমাণিত হচ্ছে, প্রতি ক্ষণে তার স্বাক্ষর রাখছে।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মারা যাওয়া এক শিশুর জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন করে আরও একবার প্রমাণ করল, পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানাধীন ১২ নং ওয়ার্ড খ্রিষ্টান কলোনি সংলগ্ন হিরণ মিয়ার আম বাগান সড়কের শারিরীক প্রতিবন্ধী সবুজ হাওলাদারের দেড় বছরের সন্তান করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মারা যাওয়ায় শিশুর জানাযা ও দাফন কাজে কেউ এগিয়ে না আসায় বিএমপি’র অভিভাবক মাননীয় পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার মহোদয়ের নির্দেশে কোতয়ালী মডেল থানা বিএমপি কর্তৃক উক্ত শিশুর জানাযা ও দাফন কার্য সম্পন্ন করেছে।
আজ আসরবাদ জানাযা শেষে নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের আঞ্জুমান ই মফিদুল ইসলাম এর গোরস্থানে দাফন করা হয়। কোতয়ালী থানা পুলিশের এমন ভুমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কোতয়ালী মডেল থানার এসআই আরাফাত হাসান জানান, আজ আছরবাদ আমবাগান এলাকায় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। আমাদের উদ্যোগে দাফন কাফনে এলাকার দু’একজন লোক অংশগ্রহণ করেছে।
জানা গেছে, ঐ পরিবারের সকলকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। মৃতের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক পাঠানো হয়েছে।