ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরখাস্ত হলেন ঈমাম লাঞ্চিতের ঘটনায় জড়িত গ্রাম পুলিশও

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১১:১৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • ৩৪৫৮ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল ইসলামঃ “অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,তব ঘৃনা যেন তারে তৃণ সম দহে।।”কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নৈবদ্য কাব্যগ্রন্থে ন্যায়দন্ড কবিতার লাইন দুটো পড়তে পড়তে আমরা বড় হই। কিন্তু এর মর্মার্থ আমরা কখনো বুঝতে পারিনা বা বুঝতে চেষ্টা ও করিনা। যদি এর সঠিক মর্মার্থ সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে পারতাম তবে সমাজ থেকে দূর হয়ে যেত সব সামাজিক অন্যায় ও অবিচার। সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সমাজের প্রত্যেকের অবদান আছে।কেউ একজন অপরাধ করবে আর সব লোক সামনে বসে বসে দেখবে, কেউ যদি তা নিবারনের চেষ্টা না করে তবে সে সমাজে অপরাধ কখনো কমবে না। বরং আরো বাড়বে। পিজুস চন্দ্র দে হলেন সমাজের সেই ব্যক্তি যিনি অন্যায় কে প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের সঠিক প্রয়োগে বিশ্বাস করেন।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ওরফে আলাউদ্দিন-কে শারীরিক নির্যাতন ও জুতার মালা পড়ানোর সময় গ্রাম পুলিশ নান্নু কবিরাজ সেখানে উপস্থিত ছিল এবং চেয়ারম্যান কে উক্ত কাজে সহযোগীতা করতে ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়।

তাই আজ বুধ বার পিজুস চন্দ্র দে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেন্দিগঞ্জ স্বাক্ষরিত এক আদেশে স্থানীয় সরকার আইন ২০১৫ এর ৩১ নং বিধি অনুযায়ী মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ নান্নু কবিরাজকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারী করেন।যেহেতু তিনি মসজিদের ঈমামকে লাঞ্চিত করার মামলায় কারাভোগের কারনে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সেহেতু, তিনি কারাভোগের দিন থেকে মামলা পরিসমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। উল্লেখ্য একই মামলায় জড়িত প্রধান আসামী চেয়ারম্যান ও সাবেক একজন ইউপি সদস্য কারাভোগ করছেন।

এ প্রসঙ্গে ইউএনও পিজুস চন্দ্র দে বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে অপরাধী সে যেই হোক ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধী তো অপরাধীই এর অন্য কোন পরিচয় নেই।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

রক্ত ঝরিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই: হাসনাত

বরখাস্ত হলেন ঈমাম লাঞ্চিতের ঘটনায় জড়িত গ্রাম পুলিশও

আপডেট সময় : ১১:১৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

সাইফুল ইসলামঃ “অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,তব ঘৃনা যেন তারে তৃণ সম দহে।।”কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নৈবদ্য কাব্যগ্রন্থে ন্যায়দন্ড কবিতার লাইন দুটো পড়তে পড়তে আমরা বড় হই। কিন্তু এর মর্মার্থ আমরা কখনো বুঝতে পারিনা বা বুঝতে চেষ্টা ও করিনা। যদি এর সঠিক মর্মার্থ সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে পারতাম তবে সমাজ থেকে দূর হয়ে যেত সব সামাজিক অন্যায় ও অবিচার। সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সমাজের প্রত্যেকের অবদান আছে।কেউ একজন অপরাধ করবে আর সব লোক সামনে বসে বসে দেখবে, কেউ যদি তা নিবারনের চেষ্টা না করে তবে সে সমাজে অপরাধ কখনো কমবে না। বরং আরো বাড়বে। পিজুস চন্দ্র দে হলেন সমাজের সেই ব্যক্তি যিনি অন্যায় কে প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের সঠিক প্রয়োগে বিশ্বাস করেন।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ওরফে আলাউদ্দিন-কে শারীরিক নির্যাতন ও জুতার মালা পড়ানোর সময় গ্রাম পুলিশ নান্নু কবিরাজ সেখানে উপস্থিত ছিল এবং চেয়ারম্যান কে উক্ত কাজে সহযোগীতা করতে ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়।

তাই আজ বুধ বার পিজুস চন্দ্র দে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেন্দিগঞ্জ স্বাক্ষরিত এক আদেশে স্থানীয় সরকার আইন ২০১৫ এর ৩১ নং বিধি অনুযায়ী মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ নান্নু কবিরাজকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারী করেন।যেহেতু তিনি মসজিদের ঈমামকে লাঞ্চিত করার মামলায় কারাভোগের কারনে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সেহেতু, তিনি কারাভোগের দিন থেকে মামলা পরিসমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। উল্লেখ্য একই মামলায় জড়িত প্রধান আসামী চেয়ারম্যান ও সাবেক একজন ইউপি সদস্য কারাভোগ করছেন।

এ প্রসঙ্গে ইউএনও পিজুস চন্দ্র দে বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে অপরাধী সে যেই হোক ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধী তো অপরাধীই এর অন্য কোন পরিচয় নেই।