কিছুটা ফ্ল্যাট উইকেটে তবে স্পিনারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। যে মাঠে ভারতের মাটিতে তাদের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। ১৬ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী ক্রিকেটে স্টেডিয়াম, বিশ্বের বৃহত্তম মাঠগুলোর একটি। যেখানে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
মাঠের বিশালতায় নিজেকে যেন মনে হবে ভীষণ ক্ষুদ্র। আধুনিকতা আর নান্দনিকতায় ভরপুর। ভারতের সিলিকন সিটি বলে পরিচিত হায়দরাবাদের গর্বের প্রতীক হয়ে দুই দশক ধরে দাঁড়িয়ে এই মাঠ।
২০০৪ সালে বিশাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পরের বছর নাম পাল্টে যা হয় রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেই যে যাত্রা শুরু, এরপর এই মাঠ স্বাগতিক হয়েছে ১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের। আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও হোম ভেন্যু রাজীব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
এ মাঠে এখন পর্যন্ত হয়েছে মোটে দুই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। তবে আইপিএলের পরিসংখ্যান বলে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পায় এখানে। তবে ফ্ল্যাট উইকেটে বয় রানের ফোয়ারা। গেল আইপিএলে মুম্বাই-হায়দরাবাদের রেকর্ড ৫২৩ রানের সাক্ষী হয়েছিলো এই মাঠ। সানরাইজার্সের সর্বোচ্চ ২৭৭ রান এখনই আইপিএলের এক ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
রাজিব গান্ধী ক্রিকেটে স্টেডিয়ামের গড় রান ১৬০। আইপিএলে হওয়া ৭৭ ম্যাচের ৪৩বারই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। দ্বিতীয় ইনিংসে থাকে শিশিরের ভূমিকা। তবুও পরিসংখ্যান বলছে টস জেতা দল পরে ব্যাট করে এখানে।
টাইগারদের বর্তমান স্কোয়াডের চার ক্রিকেটারের খেলার অভিজ্ঞতা আছে এই মাঠে। মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ আর তাসকিন ছিলেন ২০১৭ সালের টেস্ট স্কোয়াডে। মোস্তাফিজ ছিলেন হায়দ্রাবাদের ঘরের ছেলে। ২০১৬ সালে জিতেছিলেন অরেঞ্জ আর্মিদের হয়ে আইপিএলের শিরোপাও। হয়েছিলেন সেই আসরের ইমার্জিং ক্রিকেটারও।
রাজিব গান্ধী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা অর্ধলক্ষের বেশি। গেইটগুলোর নামকরণ করা হয়েছে স্থানীয় ও ভারতীয় কিংবদন্তিদের নামে। টিম ইন্ডিয়ার সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে বিশেষ সম্মান দিয়েছে এই মাঠ। যেখানে অন্তত শেষটা রাঙাগ টিম টাইগার।