ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের প্রেমের ফাঁদে পড়ে ধর্ষণ মামলার আসামী ধরা খেল

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৮:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০১৯
  • ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজশাহীর বাগমারায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পলাতক আসামিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে এক নারী পুলিশ সদস্য ঐ আসামির সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের অভিনয় করে। এক পর্যায়ে উক্ত নারী পুলিশ সদস্য আসামীকে দেখা করতে বলে। শুক্রবার ধর্ষণ মামলার আসামি আবুল কালাম আজাদ (২৭) তার সঙ্গে দেখা করতে এসে গ্রেপ্তার হয়। আবুল কালাম আজাদ বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বাগমারা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৌরভ কুমার চন্দ্র জানান, গত ১৫ এপ্রিল আবুল কালাম আজাদ এলাকার এক নারীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক পর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে আবুল কালাম আজাদ পালিয়ে যায়। পরের দিন ওই নারী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামি আজাদ পলাতক ছিল। নানাভাবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ অবশেষে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আসামী ধরতে সক্ষম হয়।
এসআই সৌরভ বলেন, আসামীকে ধরতে তিনি থানার একজন নারী পুলিশ সদস্যকে দিয়ে আবুল কালাম আজাদকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। দেড় মাস ধরে নারী পুলিশ সদস্য ওই আসামীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন। ঈদ উপলক্ষে ৭ জুন শুক্রবার দুপুরে উভয়ে মোহনপুর থানার সীমান্তবর্তী হাসনাবাদ এলাকায় দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক করেন। তারা কী ধরনের পোশাক পড়বেন, সেটাও আলাপ হয় মুঠোফোনে। পোশাক দেখে পরস্পরকে চেনা যাবে বলেও ঠিক হয়। দুপুর ১টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৌরভ কুমার চন্দ্র নারী কনস্টেবলকে নিয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হন। সাদা পোশাকে থাকা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও ওঁৎ পেতে থাকেন। পোশাক দেখে চিনে আসামী নারী কনস্টেবলের কাছে এসে গল্প শুরু করলে ওঁৎ পেতে থাকা পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আসামি ধরতে পুলিশকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এতে নানা ঝুঁকিও থাকে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ/২০২৫ খ্রি. এর শুভ উদ্বোধন।

পুলিশের প্রেমের ফাঁদে পড়ে ধর্ষণ মামলার আসামী ধরা খেল

আপডেট সময় : ০৮:১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০১৯

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজশাহীর বাগমারায় ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পলাতক আসামিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে এক নারী পুলিশ সদস্য ঐ আসামির সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের অভিনয় করে। এক পর্যায়ে উক্ত নারী পুলিশ সদস্য আসামীকে দেখা করতে বলে। শুক্রবার ধর্ষণ মামলার আসামি আবুল কালাম আজাদ (২৭) তার সঙ্গে দেখা করতে এসে গ্রেপ্তার হয়। আবুল কালাম আজাদ বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বাগমারা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৌরভ কুমার চন্দ্র জানান, গত ১৫ এপ্রিল আবুল কালাম আজাদ এলাকার এক নারীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক পর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে আবুল কালাম আজাদ পালিয়ে যায়। পরের দিন ওই নারী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামি আজাদ পলাতক ছিল। নানাভাবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ অবশেষে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আসামী ধরতে সক্ষম হয়।
এসআই সৌরভ বলেন, আসামীকে ধরতে তিনি থানার একজন নারী পুলিশ সদস্যকে দিয়ে আবুল কালাম আজাদকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। দেড় মাস ধরে নারী পুলিশ সদস্য ওই আসামীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন। ঈদ উপলক্ষে ৭ জুন শুক্রবার দুপুরে উভয়ে মোহনপুর থানার সীমান্তবর্তী হাসনাবাদ এলাকায় দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক করেন। তারা কী ধরনের পোশাক পড়বেন, সেটাও আলাপ হয় মুঠোফোনে। পোশাক দেখে পরস্পরকে চেনা যাবে বলেও ঠিক হয়। দুপুর ১টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৌরভ কুমার চন্দ্র নারী কনস্টেবলকে নিয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হন। সাদা পোশাকে থাকা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও ওঁৎ পেতে থাকেন। পোশাক দেখে চিনে আসামী নারী কনস্টেবলের কাছে এসে গল্প শুরু করলে ওঁৎ পেতে থাকা পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আসামি ধরতে পুলিশকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এতে নানা ঝুঁকিও থাকে।