অনলাইন ডেস্কঃ
শেষ পর্যন্ত তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশের মাঈনুল আহসান নোবেলকে। ‘সা রে গা মা পা’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। ভারতের জি বাংলার গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র এবারের আসরে তিনি প্রীতমের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ অর্থাৎ তৃতীয় হয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অঙ্কিতা। বিচারকদের রায়ে এই ফল হলেও দর্শকের ভোটে সেরা নোবেল। তিনি ‘মোস্ট ভিউয়ার চয়েস’-এ বিজয়ী হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে আয়োজনটির সঙ্গে জড়িত একজন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত শনিবার কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। পর্বটি জি বাংলায় দর্শক দেখতে পাবেন ২৮ জুলাই রাতে।
‘সা রে গা মা পা’ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ভারতের কলকাতা আর বাংলাদেশে দারুণ পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। তাঁকে বলা হয় ‘বিস্ময় বালক’। এই বিশেষণটি বেশির ভাগ সময়ই এসেছে প্রতিযোগিতার বিচারকদের কাছ থেকে। তবে তাঁদের উচ্ছ্বাস এবং দর্শকের ভোটে এগিয়ে থাকলেও গানের প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত প্রথম হতে পারেননি এই তারকা। তাঁকে তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
গত শনিবার রাতে ‘সা রে গা মা পা’র গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এরপর অনুষ্ঠানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। যেখানে দেখা যায়, প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন অঙ্কিতার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হচ্ছে। পুরস্কার হাতে পাশে দাঁড়িয়েছে আছেন প্রথম রানারআপ গৌরব সরকার ও স্নিগ্ধজিৎ। তাঁদের পেছনে নোবেল ও প্রীতম। নোবেল বললেন, ‘এই শোর মাধ্যমে আমি দুই বাংলায় পরিচিতি পেয়েছি। সবাই আমার গান পছন্দ করেছেন, আমাকে ভালোবেসেছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। গ্র্যান্ড ফিনালে রেকর্ড হয়েছে, কিন্তু প্রচার হতে এখনো প্রায় এক মাস বাকি। তাই এটা নিয়ে এখনো অফিশিয়ালি কিছু বলতে পারছি না। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেয়ে আমি গানটা ঠিকমতো গাওয়ার দিকে বেশি জোর দিয়েছি। ফলাফল যা-ই হোক, আপনারা আগে যেমন আমার সঙ্গে ছিলেন, আশা করছি ভবিষ্যতেও সেভাবেই আপনাদের পাশে পাব।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হয় ‘সা রে গা মা পা ২০১৮-১৯’ প্রতিযোগিতা। ভারত থেকে নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা, মন্টি সিনহা ও মাঈনুল আহসান নোবেল। বাকিরা নানা ধাপে ছিটকে গেলেও গোপালগঞ্জের নোবেল জায়গা করে নেন চূড়ান্তপর্বে। পুরো আয়োজনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র ও মোনালি ঠাকুর।