ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাজুক অবস্থা, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯
  • ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ বেড দিয়ে চলছে ৫০ বেডের কার্যক্রম। দুটি ভবন নিয়ে ৫০ বেডের এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ভবনে ৩১ এবং অন্য ভবনটিতে ১৯ টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। ৩ তলা বিশিষ্ট ৩১ বেডের ভবনটি ষাটের দশকে নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে ওই ভবনটির অবস্থা এতটাই নাজুক যে ভবনটির দুই তৃতীয়াংশ দেয়াল, পিলার ও ছাদের পলেস্তারা খসে রড ও পাইপ বেরিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে ছাদের পলেস্তারা খসে রোগীসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীরাও আহত হয়েছেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ৩১ বেডের ওই ভবনটির নিচ তলায় একটি রুমে ঝুঁকি নিয়ে জরুরী বিভাগের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাকি ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেকোন সময় ভবনটি ধসে ঘটে যেতে পারে হতাহতসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, পরিত্যক্ত ভবনটিতে একদল মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। ২০১০ সালে নির্মিত ১৯ বেডের ভবনটিতেই চলছে পুরো ৫০ বেড ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম। প্রায় ৩ লক্ষ জনসংখ্যার এ উপজেলার জন্য হাসপাতালটিতে শুধু এ উপজেলারই নয় পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর, কাউখালী, বানারীপাড়া ও ঝালকাঠি উপজেলার সীমান্তবর্তী জনগণও এখানেই চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ইনডোরে ৮০/১০০ ও আউটডোরে ২০০/২৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কখোনো কখোনো ইনডোরে ১৫০ থেকে ২০০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আসাদুজ্জামান জানান, শুধু সিট সংকটই নয় ২১ জন ডাক্তারের স্থলে ৬ জন ডাক্তার দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নানা রকমের বেগ পোহাতে হয় ওখানে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের এমনকি রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসাও দিতে পারেন না তারা। সমাজ সেবক মহিবুল্লাহ বলেন, পুরোনো ভবনটির অবস্থা এতটাই নাজুক যেকোন সময় তা ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. তানভীর আহম্মেদ সিকদার জানান, হাসপাতালের ৩১ বেডের পুরোনো ভবনটি ভেঙে সেখানে অতিদ্রুত ১০০ বেডের একটি ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত

স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাজুক অবস্থা, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

আপডেট সময় : ১২:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯

নিউজ ডেস্ক: পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ বেড দিয়ে চলছে ৫০ বেডের কার্যক্রম। দুটি ভবন নিয়ে ৫০ বেডের এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ভবনে ৩১ এবং অন্য ভবনটিতে ১৯ টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। ৩ তলা বিশিষ্ট ৩১ বেডের ভবনটি ষাটের দশকে নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে ওই ভবনটির অবস্থা এতটাই নাজুক যে ভবনটির দুই তৃতীয়াংশ দেয়াল, পিলার ও ছাদের পলেস্তারা খসে রড ও পাইপ বেরিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে ছাদের পলেস্তারা খসে রোগীসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীরাও আহত হয়েছেন। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ৩১ বেডের ওই ভবনটির নিচ তলায় একটি রুমে ঝুঁকি নিয়ে জরুরী বিভাগের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাকি ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেকোন সময় ভবনটি ধসে ঘটে যেতে পারে হতাহতসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, পরিত্যক্ত ভবনটিতে একদল মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। ২০১০ সালে নির্মিত ১৯ বেডের ভবনটিতেই চলছে পুরো ৫০ বেড ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম। প্রায় ৩ লক্ষ জনসংখ্যার এ উপজেলার জন্য হাসপাতালটিতে শুধু এ উপজেলারই নয় পার্শ্ববর্তী নাজিরপুর, কাউখালী, বানারীপাড়া ও ঝালকাঠি উপজেলার সীমান্তবর্তী জনগণও এখানেই চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ইনডোরে ৮০/১০০ ও আউটডোরে ২০০/২৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কখোনো কখোনো ইনডোরে ১৫০ থেকে ২০০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আসাদুজ্জামান জানান, শুধু সিট সংকটই নয় ২১ জন ডাক্তারের স্থলে ৬ জন ডাক্তার দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নানা রকমের বেগ পোহাতে হয় ওখানে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের এমনকি রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসাও দিতে পারেন না তারা। সমাজ সেবক মহিবুল্লাহ বলেন, পুরোনো ভবনটির অবস্থা এতটাই নাজুক যেকোন সময় তা ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. তানভীর আহম্মেদ সিকদার জানান, হাসপাতালের ৩১ বেডের পুরোনো ভবনটি ভেঙে সেখানে অতিদ্রুত ১০০ বেডের একটি ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।