ঢাকা ১২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রক্তাক্ত রিফাতকে মিন্নি একাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নতুন ভিডিও আলোচনায়

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০৫:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনের একটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফের উপর হামলার পর ওই দিন সকাল ১০টা ২১ মিনিটের সময় মিন্নি একাই একটি রিক্সায় করে গুরুতর যখম হওয়া অচেতন রিফাতকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে নিয়ে আসেন।

এসময় সেখানে দাড়ানো মামুন নামের একজন রিফাত শরীফকে বহন করা রিক্সার দিকে দৌড়ে আসেন। রিফাতের অবস্থা দেখেই তিনি দৌড়ে হাসপাতালের ভিতরে গিয়ে একটি স্ট্রেচার নিয়ে ফের রিক্সার পাশে আসেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে এগিয়ে আসেন উপস্থিত অনেকেই। এরপর রিক্সা থেকে নামিয়ে অচেতন রিফাত শরীফকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, রক্ত মাখা হাতে মিন্নি হাসপাতালের সামনে উপস্থিত একজনের ফোন নিয়ে কল দিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে। এর কিছু সময় পরে মিন্নির বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন কিশোর হাসপাতালে আসেন।
এরপর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে এনে রিফাত শরীফকে বহন করে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

এরপর ১০ টা ৪৪ মিনিটের সময় অক্সিজেন ও দুটি স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রিফাত শরীফকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমান অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। এরপর রিফাত শরীফকে বহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি ১০টা ৪৯ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের দিকে রওনা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি ও বরগুনা জেলা পুলিশের একটি সিসি ক্যামেরা আছে। তবে নতুন প্রকাশ হওয়া এই ভিডিওটি ঠিক কোন ক্যামেরার ধারণ করা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর কারামুক্ত হয়ে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসায় অবস্থান করছেন মিন্নি। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয়ে মিন্নির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়নি।

তবে এ বিষয়ে মিন্নর বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি আমি সংগ্রহ করে কয়েকজন সংবাদকর্মীকে দিয়েছি। মিন্নি যে রিফাত শরীফতে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, তা কলেজের সামনের ভিডিও এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভিডিওতে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত। আমার মেয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই কলেজের সামনের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি গোপন করার চেষ্টা করা হয়ছে। কিন্তু তা পারেনি।

তিনি আরও বলেন, এরকম আরও একটি ভিডিও আমার সন্ধানে আছে। আমি সেই ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

ভিডিও সৌজন্য: জাগো নিউজ

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের উপর মহলে বড় ধরনের রদবদল

রক্তাক্ত রিফাতকে মিন্নি একাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নতুন ভিডিও আলোচনায়

আপডেট সময় : ০৫:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিউজ ডেস্ক: বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনের একটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফের উপর হামলার পর ওই দিন সকাল ১০টা ২১ মিনিটের সময় মিন্নি একাই একটি রিক্সায় করে গুরুতর যখম হওয়া অচেতন রিফাতকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে নিয়ে আসেন।

এসময় সেখানে দাড়ানো মামুন নামের একজন রিফাত শরীফকে বহন করা রিক্সার দিকে দৌড়ে আসেন। রিফাতের অবস্থা দেখেই তিনি দৌড়ে হাসপাতালের ভিতরে গিয়ে একটি স্ট্রেচার নিয়ে ফের রিক্সার পাশে আসেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে এগিয়ে আসেন উপস্থিত অনেকেই। এরপর রিক্সা থেকে নামিয়ে অচেতন রিফাত শরীফকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, রক্ত মাখা হাতে মিন্নি হাসপাতালের সামনে উপস্থিত একজনের ফোন নিয়ে কল দিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে। এর কিছু সময় পরে মিন্নির বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন কিশোর হাসপাতালে আসেন।
এরপর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে এনে রিফাত শরীফকে বহন করে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

এরপর ১০ টা ৪৪ মিনিটের সময় অক্সিজেন ও দুটি স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রিফাত শরীফকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমান অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। এরপর রিফাত শরীফকে বহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি ১০টা ৪৯ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের দিকে রওনা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি ও বরগুনা জেলা পুলিশের একটি সিসি ক্যামেরা আছে। তবে নতুন প্রকাশ হওয়া এই ভিডিওটি ঠিক কোন ক্যামেরার ধারণ করা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর কারামুক্ত হয়ে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসায় অবস্থান করছেন মিন্নি। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয়ে মিন্নির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়নি।

তবে এ বিষয়ে মিন্নর বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি আমি সংগ্রহ করে কয়েকজন সংবাদকর্মীকে দিয়েছি। মিন্নি যে রিফাত শরীফতে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, তা কলেজের সামনের ভিডিও এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভিডিওতে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত। আমার মেয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই কলেজের সামনের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি গোপন করার চেষ্টা করা হয়ছে। কিন্তু তা পারেনি।

তিনি আরও বলেন, এরকম আরও একটি ভিডিও আমার সন্ধানে আছে। আমি সেই ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

ভিডিও সৌজন্য: জাগো নিউজ