ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কে হচ্ছেন জামায়াতের পরবর্তী আমির?

  • বার্তা কক্ষ
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই সংগঠনটিকে নতুন আমির নির্বাচন করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় জনমনে কৌতুহল জেগেছে, কে হবেন এ দলটির পরবর্তী আমির? ডা. শফিকুর রহমান তৃতীয় মেয়াদে থাকছেন, নাকি আসছেন নতুন মুখ?

শফিকুর রহমান দলটির নেতৃত্বে আসার পর থেকে তার দূরদর্শিতায় দলের অবস্থা ভালো হয়েছে। তার সংস্কারমুখী ও যুগোপযোগী চিন্তা-ভাবনা ও কথা-কাজের কারণে ছোট-বড় সব শ্রেণির মানুষের কাছেই তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এবং তাদের কাছে দলের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। এবারও বৃহৎ স্বার্থে দলটির রুকনরা (সদস্য) তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবে ডিসেম্বরে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওই সময়ের মধ্যে নতুন আমির নির্বাচন করবে দলটি। জানা যায়, ‘আমির’ জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদ।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছরের জন্য তিনি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যদের পরামর্শক্রমে নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ নির্বাহী দায়িত্বশীল পদগুলোতে দলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে থাকেন আমির।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংগঠনগুলোর মেয়াদ তিন বছর। এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্বাচনগুলো সম্পন্ন হয়।

সেই নির্বাচনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘আমিরে জামায়াত’ নির্বাচন। আরও আছে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা নির্বাচন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের নির্বাচন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন।’

এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘আমাদের ৫ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন আছে। তারা আশা করছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমিরে জামায়াত এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা—এই দুইটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করতে পারবেন।পরে শপথসহ অন্য বিষয়গুলো আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে করব।’

ব্রিটিশ উপনিবেশকালে ভারতের লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তান) মাওলানা মওদূদীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে আমির নির্বাচিত হয়েছেন ৬ জন নেতা। তাদের মধ্যে ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মাওলানা আবদুর রহিম, ১৯৬০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক গোলাম আযম, ১৯৭৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আব্বাস আলী খান (ভারপ্রাপ্ত), ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মতিউর রহমান নিজামী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মকবুল আহমদ এবং সর্বশেষ ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ ও ২০২২ সালে টানা দুইবারের মতো নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ/২০২৫ খ্রি. এর শুভ উদ্বোধন।

কে হচ্ছেন জামায়াতের পরবর্তী আমির?

আপডেট সময় : ০২:৪২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই সংগঠনটিকে নতুন আমির নির্বাচন করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় জনমনে কৌতুহল জেগেছে, কে হবেন এ দলটির পরবর্তী আমির? ডা. শফিকুর রহমান তৃতীয় মেয়াদে থাকছেন, নাকি আসছেন নতুন মুখ?

শফিকুর রহমান দলটির নেতৃত্বে আসার পর থেকে তার দূরদর্শিতায় দলের অবস্থা ভালো হয়েছে। তার সংস্কারমুখী ও যুগোপযোগী চিন্তা-ভাবনা ও কথা-কাজের কারণে ছোট-বড় সব শ্রেণির মানুষের কাছেই তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এবং তাদের কাছে দলের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। এবারও বৃহৎ স্বার্থে দলটির রুকনরা (সদস্য) তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবে ডিসেম্বরে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওই সময়ের মধ্যে নতুন আমির নির্বাচন করবে দলটি। জানা যায়, ‘আমির’ জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদ।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছরের জন্য তিনি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যদের পরামর্শক্রমে নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ নির্বাহী দায়িত্বশীল পদগুলোতে দলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে থাকেন আমির।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংগঠনগুলোর মেয়াদ তিন বছর। এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্বাচনগুলো সম্পন্ন হয়।

সেই নির্বাচনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘আমিরে জামায়াত’ নির্বাচন। আরও আছে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা নির্বাচন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের নির্বাচন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন।’

এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘আমাদের ৫ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন আছে। তারা আশা করছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমিরে জামায়াত এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা—এই দুইটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করতে পারবেন।পরে শপথসহ অন্য বিষয়গুলো আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে করব।’

ব্রিটিশ উপনিবেশকালে ভারতের লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তান) মাওলানা মওদূদীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে আমির নির্বাচিত হয়েছেন ৬ জন নেতা। তাদের মধ্যে ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মাওলানা আবদুর রহিম, ১৯৬০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক গোলাম আযম, ১৯৭৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আব্বাস আলী খান (ভারপ্রাপ্ত), ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মতিউর রহমান নিজামী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মকবুল আহমদ এবং সর্বশেষ ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ ও ২০২২ সালে টানা দুইবারের মতো নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।