রোজ শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ১০:১২


					
				
প্রায় হাজার বছরের ও বেশি প্রাচীন মসজিদের সন্ধান

প্রায় হাজার বছরের ও বেশি প্রাচীন মসজিদের সন্ধান

বাংলাদেশ একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি দেশ। এর প্রতিটি বিভাগেরই রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বরিশালের ও রয়েছে তেমনি বেশ কিছু ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বিভিন্ন কারনেই বরিশাল বেশ সমাদৃত। এই বিভাগের প্রতিটি পর্তে পর্তে রয়েছে ঐতিহ্যের হাতঁছানি।তেমনি একটি ঐতিহ্যের সন্ধান মিলল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের সলদী গ্রামে।
সলদী গ্রামের সবচেয়ে যে পূরনো মসজিদটি রয়েছে তার ইতিহাস অজানা এই গ্রামের সবার কাছেই। মসজিদটির নাম #সলদী_পাকা_মসজিদ। মসজিদ টি সম্পর্কে স্থানীয় বেশ কিছু বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছে প্রশ্ন করে কোন সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি। তাদের মধ্যে ফিরোজ ঢালী নামে একজন বললেন, এই মসজিদটি সম্পর্কে তার দাদার কাছে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন তার দাদার দাদাও এই মসজিদ সম্পর্কে কিছু জানত না। এভাবেই পরম্পরা ধরে অজানা থেকে আসছে সেই হিসেব করলে হাজার বছরেরও পূরনো এই মসজিদ।
মসজিদের ভিতরে বাহিরে কোন শিলালিপি নেই। মসজিদের পশ্চিম পাশেই রয়েছে শান বাধাঁনো একটি বড় পুকুর। তার খননের ইতিহাস ও অজানা। রয়েছে নতুন পূরনো অনেক কবর।
ধারনা করা হয় এই মসজিদে অনেক আল্লাহর ওলীদের পদচারণা হয়েছিল।
এই মসজিদ আয়তনে খুব বেশি বড় নয়। দুই কাতার নামাজ পড়া যাবে এক সাথে। বর্তমানে ভিতরে কিছু আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। বসানো হয়েছে টাইলস। উপরে রয়েছে তিনটি গম্বুজ।
এই মসজিদের দেয়ালের পুরুত্ব তিন চার ফুট। গড়মের দিনেও ভিতরে ঠান্ডা। অসাধারন একটি মসজিদ।
জনশ্রুতি রয়েছে এই মসজিদে অনেক জ্বিন পরী নামাজ ও ইবাদত বন্দেগী করে ।
ভিতরে ঢুকতেই গা ছমছম করে উঠল। একা ঢুকতে, একা থাকতে একটু ভীতিকর।
শোনা গেছে এই মসজিদের সাবেক এক ইমাম একটানা ৪৭ বছর এই মসজিদের ইমামতি করেছেন এবং মসজিদের ভিতরেই থাকতেন। তাকে মাঝে মাঝেই মসজিদের ঘাটে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যেত।

যাতায়াতঃ বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে বরিশাল আসতে হবে। বরিশাল থেকে লঞ্চ যোগে আলীগঞ্জ নামতে হবে। আলীগঞ্জ থেকে ২ /৩ কিঃমিঃ দক্ষিণে ই সলদী গ্রামে এই সলদী পাকা মসজিদটি অবস্থিত।

সম্পাদনাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৮২২৮১৫৭৪৮

Md Saiful Islam