রোজ শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ১১:২৩


					
				
বরিশালে লাকুটিয়া সড়ক যেন মরণ ফাঁদ ; কতৃপক্ষ উদাসীন।

বরিশালে লাকুটিয়া সড়ক যেন মরণ ফাঁদ ; কতৃপক্ষ উদাসীন।

মোহাম্মদ হাশেম ।। বরিশালের লাকুটিয়া সড়কে খানাখন্দে ভরা,ঘটছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা। ঝড়ছে তাজা প্রান, কিন্তু উদাসীন কতৃপক্ষ।

সড়কটি র্দীঘদিন ধরে বেহাল দশা। প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই, ইট-সুরকি উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা খন্দকের। আর এই খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীবাহী,মালবাহীসহ বিভিন্ন যানবাহন। সড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।এছাড়া বাবুগঞ্জ,মুলাদী,হিজলা,মেহেন্দীগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকার সাথে বরিশাল বিভাগীয় শহরে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবহান চলাচল করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদ।বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছ। গত ৫ নভেম্বর ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উল্টে ফজলু খান(৫৫)নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল লাকুটিয়া সড়কের সারসী এতিমখানা সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফজলু খানের পকেট থেকে মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় লোক সমাগম হওয়ার আগেই দুলাল নামে এক ব্যাক্তি।

বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় স্যানিটারি ব্যবসায়ী। এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহিদ বিন আলম জানান,দুপুরে ফজলু খান মালামাল নিয়ে বরিশাল থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার সময় লাকুটিয়া এলাকায় রাস্তা ভাঙা থাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উল্টে যায়।এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে বিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকার বাসিন্দা,বেসরকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, সড়কটি র্দীঘদিন ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তু সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যে কারণে ঝুঁকি নিয়ে সড়কটিতে চলাচল করতে হয়। তিনি আরও জানান,এই সড়কের সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভারী যানবহন প্রায়ই উল্টে রাস্তার পাশে খাদে আবার কখনও ভাঙা রাস্তার গর্তে পড়ে চাকা ফেঁসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

কলেজ শিক্ষার্থী শামীমা সেতু জানান, রাস্তা ভাঙা চোরার কারণে কলেজে আসা-যাওয়া করতে অসুবিধা হয়। ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এছাড়া বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলে এই সড়কে এক থেকে দের ফুট পানি কাদা জমে যায়। তখন যাত্রী বহনকারী ছোট ছোট যে কোন যানবহন চলাচল করতে ভীষণ অসুবিধা হয়।

এই সড়ক আর কত রক্তে রঞ্জিত হলে এলজিইডির টনক লড়বে?

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৮২২৮১৫৭৪৮

Md Saiful Islam