রোজ রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ১২:০২


					
				
কিশোর প্রেমের গল্প (১ম পর্ব)

কিশোর প্রেমের গল্প (১ম পর্ব)

কিশোর প্রেম

মোঃ সাইফুল ইসলাম
 স্বপ্নহীন মানুষ পৃথিবীতে নেই। সবাই স্বপ্ন দেখে; কেউ সুন্দর চাকুরি, কেউ সুন্দর বাড়ি, কেউ সুন্দর গাড়ি, আবার কারো কারো স্বপ্ন সুন্দর নারীতে বাঁধা পড়ে যায়।


এই নশ্বর পৃথিবীতে মানুষ বাঁচেই স্বপ্ন নিয়ে। কারো স্বপ্ন পূরণ হয়। কারোটা হয় না। তবে স্বপ্নের বাহিরে কেউ নেই।


মেঘলা দিনে, ঝিরিঝিরি বাতাস যে কাউকে বিমোহিত করে। কবি বসে কবিতা লিখে গায়ক মনের সুখে গান করে। ময়ুর তার পেখম তুলে নাচে।

সেদিন হৃদয় তার পছন্দের গানটিতেই সুর তুলেছিলেন। গান গাইতে গাইতে হাঁটছিলেন। হটাৎ পথিমধ্যে তার সাথে প্রিয়ন্তির দেখা।

প্রিয়ন্তি হলো হৃদয়ের ইয়ারমেট। তথাপি তাদের সাথে অতটা যোগাযোগ ছিলোনা। কলেজে দূর থেকে দুজনের দেখা হতো। প্রিয়ন্তি তার নানা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। আর হৃদয় তার মামা বাড়িতে। দু’জনই এখানে নতুন। কিন্তু একস্থানে তারা দু’জনেই পুরোনো সেটা হলো তাদের কলেজ।


প্রিয়ন্তি, এবারে ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রী। তাদের বাড়ি একটু গ্রামে হওয়াতে নানা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। প্রিয়ন্তি কিন্তু দেখতে দারুণ! লম্বা ৫ফুট ৩ ইঞ্চি গায়ের রং উজ্জ্বল ফর্শা, পাতলা গড়ন স্লীম ফিট যাকে বলে। যে কেউ একবার দেখলেই প্রেমে পড়ে যাবে।

হটাৎ করে সে সামনে চলে আসায় হতবম্ভ হয়ে গেল হৃদয়। হৃদয় জিজ্ঞেস করলো আরে প্রিয়ন্তি তুমি এখানে? প্রিয়ন্তিরও সেইম প্রশ্ন? দুজনেই তাদের স্থানীয় পরিচয় বর্ণনা করলো। দেখা গেল এখন তারা প্রতিবেশী হয়ে গেলো।

হৃদয় খুব ভালো গান করে, সাথে সাথে ভালো গীটারও বাজায় বেশ। মনখারাপের সময় গীটার বাজিয়ে মন ভালো করে।

প্রিয়ন্তি আবার গীটার আর গান দুটোই পছন্দ করে। কিন্তু সে কখনো নিজে গান করেনা। তার ভালো লাগা শোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।


পরের দিন হৃদয় কলেজে গেলো। কলেজে সে এখন তো শুধু একজনকেই খুঁজছে…..
ঐদিন আবার প্রিয়ন্তি কলেজে আসেনি। তার নানু একটু অসুস্থতা অনুভব করায় সে আর কলেজে আসতে পারেনি।


কলেজে প্রিয়ন্তিকে না পেয়ে হৃদয় তো পুরো হতাশ। যাকে কখনো সে ফিল করেনি। যার সাথে আগে কখনো ওরকম কথাও হয়নি অথচ আজ তার জন্য ভীষণ মন খারাপ।

এভাবে সপ্তাহ খানেক প্রিয়ন্তি কলেজে আসলো না। এবার হৃদয় তার খোঁজ নেয়ার জন্য তার বান্ধবী স্নেহার কাছে গেলো।
স্নেহা একটু পাকনা টাইপের মেয়ে ছিলো। তার কাছে প্রিয়ন্তির কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলে উঠলো ওর তো বিয়ে হয়ে গেছে তুমি জানোনা ? হৃদয় হচকিত হয়ে বললো কি বলো? আমি তো কিছু জানিনা! স্নেহা এবার চাঞ্চ পেয়ে আরেকটু বাজিয়ে নিলো। হৃদয়কে সে বললো তার আগে থেকেই বিয়ে ঠিক ছিলো। ওর স্বামী বিদেশে থাকতো গত সপ্তাহে দেশে এসেই বিয়ে করে ওকে শশুর বাড়ি নিয়ে গেছে।(এগুলো বলে আর মুচকি মুচকি হাসে) হৃদয় তো বুঝতে পারলো না। স্নেহা ওর থেকে মজা নিচ্ছে তো নিচ্ছেই। একসময় সে হৃদয় ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে ফিরে আসলো।

বাড়িতে এসে সে গীটারে স্যাড সং এর সুর তুলেছিলেন…….(চলবে)

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৮২২৮১৫৭৪৮

Md Saiful Islam