রোজ শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রাত ৯:৫০


					
				

সম্পাদকীয়…..

সম্পাদকীয়: ইদানিং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রায়শই একটি বিষয় প্রকট আকারে দৃষ্টিগোচর হয়, তা হলো অপরাধের বরাতে “নির্যাতন”

শিশু, নারী, পুরুষ, পরিবার প্রায় সকল স্তরের মানুষ এর স্বীকার হয়ে থাকে। নির্যাতনকারী হিসেবে ভূমিকা রাখেন স্থানীয় মাতুব্বর, চেয়ারম্যান, মেম্বর বা বড় মিয়ারা।

২/৪ জন তাদের প্রভাব খাটিয়ে নির্যাতনে অংশগ্রহণ করে আর শত শত মানুষ তা নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে, প্রতিবাদ করে না।

এখানে সকলে একটা কথা বলতে পারেন যে, সে অপরাধ করেছে। সে অপরাধ করেছে না করেনি, অপরাধের ব্যাপকতা কতটা এ বিষয়গুলো বিবেচ্য। একটি ৮-১২ বছরের একটি শিশু কতবড় অপরাধ করতে পারে সেটাও বিবেচ্য বিষয়।

ধরে নিলাম আসলেই সে অপরাধী কিন্তু সে অপরাধীকে জনসম্মুখে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়া, মাটিতে ফেলে পা দিয়ে গলায় চেপে ধরা, হাত-পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা, এলোপাতারী পিটানো, মাথা ন্যাড়া করে দেয়া, একঘরে করে দেয়া সহ নানা ধরণের নির্যাতন করা হয়ে থাকে, অনেক সময় মৃত্যুও ঘটে যায়। এই ধরণের নির্যাতন করা আইনের চোখে অপরাধ এবং সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

যদি সে অপরাধ করেই থাকে তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। অপরাধীর শাস্তি প্রচলিত আইনে হবে।

নির্যাতনের চিত্র/তথ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে বা খবর পেলে নির্যাতনকারীকে আটক করা হয়, শাস্তিও দেয়া হয়। তারপরও থেমে নেই নির্যাতন।

মনে রাখতে হবে, অপরাধীর সংখ্যা কম ভালো মানুষের সংখ্যা বেশি। ভালো মানুষ চুপ করে থাকে বলেই অপরাধীরা মাথায় উঠে যায়।

সমাজের এই অনিয়ম দূর করতে হলে আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে। অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করতে হবে। এই ধরণের ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে, প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজের অন্যায় অনিয়ম দূর হবে অবশ্যই আজ বা কাল।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৮২২৮১৫৭৪৮

Md Saiful Islam